প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২, ১১:১৪ এএম আপডেট: ০৫.০৮.২০২২ ১১:১৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জে দুই কনটেইনার বিদেশি মদ উদ্ধাদের ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম ও তার ছেলে মিজানুর রহমান আশিককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) আগাম জামিন আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট তাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ এ নির্দেশ ঘোষণা করেন।
জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
মদ জব্দের ঘটনার পর ছেলে আশিকসহ দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন আজিজুল। এদিকে আদালতের নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার বিকালে গাড়ি বহর নিয়ে আজিজুল ইসলাম ষোলঘর এলাকায় যান। এদিকে চেয়ারম্যান জামিন পেয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে দেয় তার অনুসারী নেতাকর্মীরা। বিকালে আজিজুল এলাকায় গেলে তার গলায় ফুলেল মালা পরিয়ে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে কর্মীরা। তারা এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আজিজুল ইসলাম গাড়িবহর নিয়ে এসেছে বলে খবর পেয়েছেন তারা। তখন তার কর্মীরা বাড়িতে জড়ো হয়। তবে কোনো রকমের বিশৃঙ্খলার খবর পায়নি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় এলাকা থেকে কনটেইনার ভর্তি আমদানি করা প্রায় ৩৭ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৩৭ হাজার বোতল বিদেশি মদ জব্দ করে র্যাব। যার মূলহোতা ছিলেন আজিজুল। সিন্ডিকেটের হোতা চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল আহাদকে পরদিন রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে দেশত্যাগের সময় গ্রেফতার করা হয়। তবে এর মধ্যেই বড়ছেলে আশিকসহ দুবাই পালিয়ে যান আজিজুল।
র্যাব ১১–এর উপপরিচালক শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে আশিক ও আহাদসহ ১১ জনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানা মামলা করেন।
র্যাব জানায়, চক্রটি দেশে টিভি ও গাড়ির পার্টস ব্যবসার আড়ালে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিপণন নেটওয়ার্ক তৈরি করে। অবৈধ মাদক বিদেশ থেকে আনার পরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর, রাজধানীর বংশাল ও ওয়ারীতে ওয়্যার হাউসে রাখতেন। পরে সুবিধাজনক সময়ে এসব অবৈধ মাদক বিপণন করতেন। ক্ষেত্রবিশেষে ট্রাক ও কনটেইনার থেকে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। জব্দ হওয়া দুটি কনটেইনারে ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশি মদ ছিল। যার আনুমানিক মূল্য ৪৬ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।