প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২, ৯:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মাগুরার শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাচীরের পূর্বপাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে অর্ধশত দোকান। প্রাচীরের উচ্চতা দোকানগুলো থেকে কম হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলের বিভিন্ন দৃশ্য দেখা যায় পাশ্ববর্তী দোকান গুলো থেকে।
এছাড়াও দোকানগুলো থেকে খুব সহজেই প্রাচীর টপকিয়ে প্রবেশ করা যায় হাসপাতালে। দোকান গুলোতে আশা চা-ধুমপায়ীদের অশ্লীল কথোপকোথন ও বকাবাজিতে অতিষ্ঠ হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পূর্ব পার্শ্বের প্রাচীরের উপর বসে চা ও ধুমপান করছেন কয়েকজন লোক।
প্রাচীরের উচ্চতা দোকানগুলো থেকে কম হওয়ায় দোকানে আসা বিভিন্ন লোকজন খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে হাসপাতাল চত্তরে যেখানে অপ্রতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালটির আবাসিক হলে থাকা মেডিকেল টেকনোজিস্ট সুমিতা সরকার বলেন, আবাসিক ভবনের পার্শবর্তী দোকান গুলোতে বিভিন্ন সময় বকাবাজি করা হয় যা শুনতে অনেকটা খারাপ লাগে, এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দোকানে আসা বিভিন্ন লোক হাসপাতালের মধ্যে বিভিন্ন ময়লা আর্বজনা ফেলে যাতে করে হাসপাতালে ময়লা আবর্জনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আব্বাস উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের পার্শবর্তী অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা দোকান গুলোতে রাতদিন চা- ধুমপায়িদের আড্ডা চলে। যেখান থেকে আবাসিক এলাকায় থাকা বিভিন্ন লোকজনের চলাচল খুব সহজেই দেখা যায়। যা খুবই দৃষ্টিকটু বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও প্রাচীরের পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোর সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কয়েকজন দোকানদার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন থেকে বিষয়টা খুব গুরুত্বের সাথে দেখবো। এছাড়াও তাদের দ্বারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যেন কোন ক্ষতি না হয়। সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইমুন নিছা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাচীরের উচ্চতা পার্শ্ববর্তী দোকানের উচ্চতা থেকে কম হওয়ায় হাসপাতালের প্রাচীরটি খুব সহজেই টপকানো যায়। এতে করে হাসপাতালের পরিত্যক্ত বিভিন্ন জিনিস চুরি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আবাসিক ভবনে থাকা বিভিন্ন কর্মকর্তা -কর্মচারিদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।