শোককে শক্তিতে পরিণত করে ষড়যন্ত্র রুখতে হবে: অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২, ১:১১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আগস্ট মাস মানেই আমাদের প্রাণের স্পন্দন, আগস্ট মাস মানেই আমাদের পিতা হারানোর যন্ত্রণা, আগস্ট মাস মানেই ষড়যন্ত্রকারীদের অট্টহাসি, আগস্ট মাস মানেই আমাদের বেদনাবিধুর কণ্ঠের ধ্বনি। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এই আগস্টেই ঘটেছিল জাতির ইতিহাসের আরও একটি বিয়োগান্তক ঘটনা। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বুকে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশে চালানো হয় নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৮২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, যেহেতু শোকাবহ মাসটি শুরু হচ্ছে সেহেতু আমাদের সবার আনন্দ লোপ পাবে এই মাস ঝুরে। এই পুরো মাস ঝুরে একটা শোকাছন্ন পরিবেশ থাকবে সবজায়গায়। এই মাসটি আসলে বাঙালি জাতির সেই কলঙ্কতম অধ্যায়টি আমাদের সামনে উঠে আসে। বাংলাদেশের কিছু কুলাঙ্গার এই মাসের ১৫ই তারিখে আমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, শুধু তাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা, সেই পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হত্যা করেছে সেই কুলাঙ্গাররা। আল্লাহ্র অশেষ রহমতে তার দুই কন্যা দেশের বাহিরে অবস্থান করেছিলেন বিধায় আমরা তাদের এখনো দেখতে পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করে তারা সাময়িকভাবে তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা করেছিল এবং বাংলাদেশকে পেছনের দিকে ফেলে দেওয়ার তাদের যে চক্রান্ত ছিল সেটাকে ফেলে দিয়ে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি আজ ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কলঙ্কিত সেই অধ্যাদেশ বাতিল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া ও নানা কূটকৌশলের জাল ছিন্ন করে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা এবং পাঁচ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে।