#পাসপোর্ট জটিলতা নিরসনে দালাল মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার: কে এম লোকমান হোসেন। #প্রবাসীদের জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের ব্যবস্থা করতে হবে: এম এ লিংক মোল্লা।
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২, ১১:৪৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে পাসপোর্টটায় হচ্ছে সবচে বড় দলিল। এটা একটা জাতির প্রধান পরিচয়পত্র। প্রবাসীদের জন্য একটি পাসপোর্ট কতোটা জরুরি, সেটা যারা সংকটে পড়েছেন কেবল তারাই বুঝবেন। বিদেশে পাসপোর্ট মানেই বাংলাদেশের পরিচয়পত্র। এসব হয়রানি বন্ধ করার জন্য আমাদের দেশের কর্তৃপক্ষকে জোর দাবি জানাচ্ছি এবং হয়রানিমুক্ত, দালালমুক্ত সরকারিভাবে যেন এই সকল সমস্যা যাতে ঠিক করতে পারে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৮০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব, এম এ লিংকন মোল্লা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
কে এম লোকমান হোসেন বলেন, আজকের ভোরের পাতা সংলাপে যে বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা নিয়ে এর আগেও আমরা আলোচনা করেছি। প্রবাসে পাসপোর্টটায় হচ্ছে সবচে বড় দলিল। এটা একটা জাতির প্রধান পরিচয়পত্র। প্রবাসীদের জন্য একটি পাসপোর্ট কতোটা জরুরি, সেটা যারা সংকটে পড়েছেন কেবল তারাই বুঝবেন। বিদেশে পাসপোর্ট মানেই বাংলাদেশের পরিচয়পত্র। ভিসা নবায়ন, ওয়ার্ক পারমিট থেকে শুরু করে সব কাজে এই পাসপোর্ট লাগে। এমনকি দেশে ফিরতেও এই পাসপোর্টের কোনো বিকল্প নেই। এখন এই পাসপোর্টকে নিয়েই যদি জটিলতা থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির বা নাগরিকের কি জটিলতায় পড়তে হয় তা তারাই ভালো জানে। অতি সম্প্রতি আমাদের ইতালি দূতাবাসে এই নিয়ে অনেক কেলেঙ্কারি হয়েছে। এই কেলেঙ্কারি থেকে উদ্ধার হতে আমারা উদ্যোগ নিয়ে আমরা এখানের রাষ্ট্রদূতকে এখান থেকে বিতাড়িত করেছি। নতুন রাষ্ট্রদূতের আগমনের ফলে এখানে বর্তমানে মানুষজন একটু স্বস্তির সাথে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। এখনো যে একেবারে সমস্যা শেষ হয়নি এটা বললে ভুল হবে কিন্তু ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলতে আমাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতা এখনো অনেক আছে। সবচে বড় সমস্যা যেটা হচ্ছে পরিচয় পত্র নিয়ে। যখন থেকে এটা ইলেক্ট্রনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তখন থেকেই এই দালাল চক্র আরও উগ্র হয়ে গিয়েছে। এসব হয়রানি বন্ধ করার জন্য আমাদের দেশের কর্তৃপক্ষকে জোর দাবি জানাচ্ছি এবং হয়রানিমুক্ত, দালালমুক্ত সরকারিভাবে যেন এই সকল সমস্যা যাতে ঠিক করতে পারে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এম এ লিংকন মোল্লা বলেন, আজকে যে ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটা কিন্তু আজকের সমস্যা নয়, এটা অনেক আগে থেকেই হচ্ছে। আমরা যারা প্রবাসী আছি তারা সব সময় এগুলোর সম্মুখীন হচ্ছি কারণ আমরা যেহেতু একটি কমিউনিটির নেতৃত্ব দিচ্ছি। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিদেশে অনেক কষ্ট করে তারা রোজগার করেন। তাদের সেই কষ্টার্জিত রোজগারের অর্থে দেশে তাদের পরিবার ও স্বজনরা চলে। দেশের উৎপাদন ও উন্নয়নে সেই অর্থ কাজে লাগে। আজকে দেশের প্রায় প্রতিটা গ্রামে পাকা বাড়ি দেখা যায়, আধুনিক জীবন যাপনের উপকরণ প্রত্যক্ষ করা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগে একটি ডিজিটাল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ই-পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। বিশেষ করে প্রবাসীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। যেহেতু প্রবাসী আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম খাত, তাই বিদেশগমনেচ্ছুক প্রত্যেকের যাত্রা সহজ করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার পরিচয় দিতে হবে। এখানে অনেকেই আছে যারা অনেক জানা শোনা লোক, তাদেরকেও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এখন যারা অর্ধ শিক্ষিত লোক তারা যে কোথায় গিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবে সেটা কিন্তু তারা সহজে করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে আমি বলবো ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মতো যদি কিছু করা যেতো তাহলে এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান পাওয়া যেতো।