#ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ জয়: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #বাংলাদেশের যুবাদের অনুপ্রেরণা সজীব ওয়াজেদ জয়: ড. শাহিনূর রহমান। #কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্যে বড় হয়েছেন জয়: ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। #ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়: কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য দৌহিত্র, ভবিষ্যৎের জন্য যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের অনুঘটকের কাজ করছেন তিনি হচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। আমরা সকলেই জানি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া অত্যন্ত স্নেহভাজন নামটি হচ্ছে জয়। জয় নামটি অনেক বড় তাৎপর্য বহন করে। এই নামটির সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা জয় জড়িয়ে আছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৭৮তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য দৌহিত্র, ভবিষ্যৎের জন্য যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের অনুঘটকের কাজ করছেন তিনি হচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। করোনা মহামারিতে যখন গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি টালমাটাল, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এমনকি উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছিল, তখন বাংলাদেশে ডিজিটাল উদ্যোগ মানুষকে দেখিয়েছে নতুন পথ, জুগিয়েছে প্রেরণা। দেশব্যাপী লকডাউনে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম যেন থেমে না যায় সেজন্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হয়। সংসদ, টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে দেশব্যাপী সম্প্রচার করা হয়। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ সাধনসহ অনলাইনে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনন্য। যার সুফল আজ ভোগ করছে কোটি বাঙালি। কেননা করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থমকে গেলেও তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ পেয়েছে বাড়তি সুবিধা। সজীব ওয়াজেদ জয় অসাধারণ উদ্ভাবনী চিন্তার অধিকারী। তিনি তরুণ সমাজকে তাদের দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং প্রথাগত ছকের বাইরে গিয়ে সফলতা অর্জনের ব্যাপারে উৎসাহিত করে চলেছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডারস’দের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া বহির্বিশ্বে তার গ্রহণযোগ্যতা দেশীয় যুবাদের অনুপ্রেরণা দেয়।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আমি ভোরের পাতার আজকের আয়োজনকে সাদুবাদ জানায়। আমরা সকলেই জানি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া অত্যন্ত স্নেহভাজন নামটি হচ্ছে জয়। জয় নামটি অনেক বড় তাৎপর্য বহন করে। এই নামটির সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা জয়ের সাথে জড়িয়ে আছে। বাস্তবতার কঠিন দিকটি জয় জন্মলগ্ন থেকেই দেখে আসছেন। মুক্তিযুদ্ধের সংকটকালে তার জন্ম। বয়স সবে যখন চার পেরোলো তখনই ১৫ আগস্টের নারকীয় ঘটনা। অর্থনৈতিক, সামাজিক, নিরাপত্তা বিষয়ক সব বিপত্তি সামলে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকেন জয়। ভারতের ব্যাঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স পড়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পন্ন করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন বাস্তবায়নের মাধ্যমে যেভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণমানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা; সেইসব দূরদর্শী ও সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে নিজের মা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বোতভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও বঙ্গবন্ধুকন্যার পুত্র হিসেবে দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার কারণেই বাস্তবায়িত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ফলে শুধু কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে, তথ্যপ্রযুক্তির নতুন খাত সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের মানুষের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত হতে যাচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণে সৃষ্ট এই নতুন সেক্টরটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজেশনের পথে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, আজকে ভোরের পাতা সংলাপের আলোচ্য বিষয় সত্যিই খুব প্রাসঙ্গিক। সজীব ওয়াজেদ জয়: দুর্গম যাত্রার অকুতোভয় নাবিক। তিনি একটি কঠিন সময়ে দেশকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন শুধু তা নয় কিন্তু, বাংলাদেশ যখন জ্বলছিল সে সময় তার জন্ম হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সেসময় আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারান্তর ছিলেন এবং বন্দি বাংলাদেশের মধ্যেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম হয়েছিল। তার জন্মের পরপরই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে তার শৈশবের একটা অংশ কেটেছে শরণার্থী হিসেবে। তারপর যখন শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করলেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। তিনি দেশে ফেরার পর আমরা সবাই জানি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাকে যেতে হয়েছে। সেসময় কি একটা কঠিন সময়ের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল সজীব ওয়াজেদ জয়কে। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসেপ্ট অন্তর্ভুক্তি জয়ের চিন্তার ফসল। সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনস্বীকার্য। জয়ের ভাবনার আজ সবদিকেই জয়জয়কার।দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেকপার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটার শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিং-এর উৎকর্ষতা, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ অনলাইনে করাসহ নাগরিক সুবিধাকে মানুষের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্নগুলো আজ ডানা মেলেছে সবখানে। বাংলাদেশ আশা করতেই পারে বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্মের হাতে বাংলাদেশ একইরকম নিরাপদ এবং শক্তিশালী থাকবে।
কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন বলেন, ওয়াজেদ জয় আধুনিক প্রযুক্তির বরপুত্র। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক। মাতামহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাতা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। আর পূর্বসূরিদের স্বপ্নের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে জয় অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সারথি হয়ে। জয় ভারত থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারে বিএসসি ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তিনি ২৫০ জন তরুণ বিশ্ব নেতার মধ্যে একজন হিসেবে সম্মানিত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তিনি অনেক আগে থেকেই রাজনীতিসচেতন। ২০০৮ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনাকে সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা আর তার সফল রূপকার হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এ টু আই’ প্রকল্পসহ একাধিক মন্ত্রণালয় ও সংস্থা। এর মূল প্রবক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়। জয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানের কারণেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপলাভ করেছে।