প্রকাশ: বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২, ৯:২৮ পিএম আপডেট: ২৭.০৭.২০২২ ৯:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর করতে হলে যুব সমাজকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত করতে হবে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যুবারা দেশের শক্তি। আগামীর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের সারথী তারা। তাদের অংশগ্রহণ দেশকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ করে দেবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশই কৃচ্ছতাসাধন নীতি অনুসরণ করছে। জ্বালানি সংকট, খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ আমদানি-রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়েছে। আর এটা শুধু বাংলাদেশে নয় পুরো বিশ্বে। শুধু টাকার মান কমেছে এটি সঠিক নয়। ইউরো, ইয়েন ও রুপিসহ অনেক দেশের মুদ্রার মান কমেছে।
তিনি বলেন, সব দেশের সরকারই একটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য পলিসি গ্রহণ করে কাজ করে। পৃথিবীর কোনো দেশই গৃহীত পলিসি শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারে না, সম্ভবও নয়। পরিবর্তন একদিনে আসে না। চোখের পলকে দেশকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। বিশ্বের কোনো দেশই পারেনি। সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে একটি দেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। সেই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। বর্তমানে মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ ডলার, তা চলতি বছরেই তিন হাজার পার হবে। যদি বড় ধরনের কোনো সংকট তৈরি না হয় তা কমার সম্ভাবনা নেই।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিতে পথ নকশা তৈরি করেছেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করে চলেছেন। দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, সাফল্যের গল্প আছে। এগুলো অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। সমালোচনা থাকবেই। কোনো দেশের সরকার সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের সাফল্য নেই একথা ঠিক নয়। এক সময় দেশের মানুষ অনাহারে থাকতো। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। অর্থনৈতিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন এসেছে। খাদ্য ঘাটতি দূর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ কৃষি, শিল্প কলকারখানা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সব খাতে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।