প্রকাশ: বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২, ৮:৩৯ পিএম আপডেট: ২৭.০৭.২০২২ ৮:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজারের আলোচিত ও চা ল্যকর মোরশেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মালেক ও ৩ নং আসামী কলিম উল্লাহ উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বুধবার(২৭ জুলাই) কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর ফারুকীর আদালতে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করে। এর আগে আসামীরা মহামান্য হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে মহামান্য হাইকোর্ট তাদেরকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
এ মামলায় একের পর এক অঘটন ঘটেই যাচ্ছে। ইতিপূর্বে ২ নং আসামীকে ২২ নং বানিয়ে মামলার কাগজ জালিয়াতি করে এক আসামী জামিন নিয়ে আদালত পাড়ায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়,ফলে কক্সবাজার বিচার বিভাগের সতর্কতা অবলম্বনে এবং জালিয়াতি প্রতিরোধে মামলার সহিমুহুরী নকল সরবরাহের ক্ষেত্রে নির্দেশনা জারি করেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট। আসামীরা আত্মসমর্পণের সময় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে আসামীপক্ষের সাথে নিহত মোরশেদ বলির পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পুনরায় বিতর্কের জন্ম দেয়। ফলে আদালত পাড়ায় পক্ষে বিপক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় পুলিশ নিহত মোরশেদ বলীর ভাই মো. সাজ্জাদ ও মো. জাহেদ এবং একই এলাকার আরিফ উল্লাহ নামে তিনজনকে আটক করেছে আদালত প্রাঙ্গন থেকে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনিরুল গিয়াস জানিয়েছেন, আটক তিনজনই মোরশেদ বলীর পরিবারের সদস্য। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশা অনুযায়ী আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমির হোসেন জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে তারা আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করায় নিহত মোরশেদ বলীর পরিবারের পক্ষ থেকেও সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৭ এপ্রিল কক্সবাজার সদরের পিএমখালী এলাকার চেরাংঘাট বাজারে পবিত্র রমজানের সময় শতশত মানুষের সামনে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয় মোরশেদ আলী ওরফে মোরশেদ বলীকে। এই ঘটনায় ২৬ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করে নিহতের পরিবার।