প্রকাশ: বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২, ৮:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া গ্রাম, ইসলামনগর এলাকার বটতলা বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই জমজমাট জুয়ার আসর। পাশাপাশি চলছে মাদক ব্যবসা। জুয়ার আসরে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, দোকানদার, কর্মচারি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরাও নিয়মিত যাওয়া আসা করেন। ক্রিকেট, ফুটবলের বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট কেন্দ্র করে মূলত জুয়া চললেও কার্ড, ক্যারাম এবং লুডু খেলা কেন্দ্র করেও বসে জুয়ার আসর। পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমে জুয়াও ইদানিং বাড়ছে। মূলত গেরুয়া বাজার, জামসিং এবং বটতলা বাজার কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই সিন্ডিকেট।
৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত চলে জুয়া। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই আসর। বিশেষ করে রাত ১০ টার পর ভিড় বাড়ে জুয়ার আসরে। সরজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে গেরুয়া বাজারে আসলামের চায়ের দোকান এবং একটি বন্ধ দোকানের পাশের খালি জায়গা কেন্দ্র করে চলছে এই জুয়া খেলা। ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের এক নেতা এবং স্থানীয় এক সাবেক কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে এসব অপরাধ কর্মকান্ডে মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে মাদক সিন্ডিকেটের টাকার ভাগ নেয়ার। ২০২১ সালে গেরুয়া গ্রামবাসীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের নেপথ্যেও এই জুয়া ও মাদক ব্যবসা কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব ছিল বলে জানা যায়।
আইপিএল সহ অন্যান্য ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রত্যেক ম্যাচে, বল প্রতিও জুয়া চলে। বিশেষ করে আইপিএল, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলা হলে আসর আরও জমজমাট হয়। এসব আসরে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনেরও অভিযোগ রয়েছে। অন্তত তিনটি পয়েন্টে মাদক ব্যবসা হয় বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্রে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী, কর্মচারী সহ আবাসিক এলাকাগুলোর তরুণ, যুবক থেকে বয়স্করাও অংশ নেয় জুয়ায়। আসন্ন টি/২০ বিশ্বকাপ এবং ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে আরও জমজমাট হয়ে উঠতে পারে এসব আসর।
স্থানীয় এক দোকানদার জানান, আইপিএলের সময় বেশি চলে। এখন কমেছে। এখন বাড়ছে অন্যান্য জুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসে, বটের (বটতলা) দোকানদাররা আসে। অনেক রাত পর্যন্তই খেলা চলে। আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে সংকিত।
পাথালিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ জুয়া ও মাদকের ব্যাপার অস্বীকার করে বলেন, “আমার এলাকায় এ ধরনের কর্মকান্ড ঘটে বলে আমার জানা নেই। আমি খোজ নিবো। প্রশাসনের সাথে কথা বলবো প্রয়োজনে”।