ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। তিনটি গোলই করেছেন দুই দলের নয় নম্বর জার্সিধারী। স্বাগতিক ভারত দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে সমতা আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করে। বল পজেশন ও আক্রমণে ভারত দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে ছিল অনেক। বিশেষ করে চার মিনিট ইনজুরি সময়ে বাংলাদেশকে টানা আক্রমণে ত্রাস সৃষ্টি করে ভারত।
বাংলাদেশ জমাট রক্ষণ ও গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় ম্যাচে টিকে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ কিছুটা রক্ষণাত্নক কৌশল অবলম্বন করে প্রতি আক্রমণ করে। এই অর্ধে বাংলাদেশ তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল। ম্যাচে বাংলাদেশের দুটি গোলই করেছেন পিয়াস আহমেদ নোভা। ম্যাচের ২৯ মিনিটে পিয়াসের গোলে বাংলাদেশ লিড নেয়। মধ্যমাঠ থেকে বাড়ানো এক লম্বা বল বক্সের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ নেন পিয়াস। ভারতের ডিফেন্ডার তাকে বাধা দেন। বক্সের মধ্যে জায়গা বদল করেন কয়েক সেকেন্ডর মধ্যেই। ভারতের গোলরক্ষক এগিয়ে আসলে তিনি বুদ্ধিদীপ্ততার সঙ্গে বল জালে পাঠান।
বাংলাদেশ এই লিড ছয় মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি। মাঝ মাঠ থেকে এক ফ্রি কিকে বক্সের মধ্যে হেড করে ভারতকে সমতা এনে দেন তাদের ফরোয়ার্ড গুরকিরাত সিং। তিনিও পিয়াসের মতো নয় নম্বর জার্সিধারী।
ইনজুরি সময়ে বাংলাদেশ আবার এগিয়ে যায়। বক্সের মধ্যে বাংলাদেশের ফুটবলারকে ফাউল করে স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পিয়াস আহমেদ নোভা গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন আবার।