প্রকাশ: বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২, ৫:০৪ পিএম আপডেট: ২৭.০৭.২০২২ ৫:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যে পরিমাণ ডিজেলের মজুত আছে, তাতে সারাদেশের ৩২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বালাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জ্বালানি সরবরাহ ও মজুতের বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আগামী ৩২ দিনের ডিজেল এবং ৯ দিনের অকটেন মজুত আছে। এছাড়াও ৬ মাসের তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে বলেও দাবি করেন বিপিসি চেয়ারম্যান।
এ বি এম আজাদ আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ডিজেল ৪ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন, অকটেন ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন, পেট্রল ২১ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন, জেট ফুয়েল ৬২ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন এবং ফার্নেস অয়েল ৮৫ হাজার ৪১ মেট্রিক টন মজুত আছে।
সারাদেশে প্রতিদিন ১৩-১৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেলের চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জ্বালানি ব্যবহার সাশ্রয়ে মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকার ডিজেল বা অকটেন নেওয়া যাবে- তেলের পাম্পে টানিয়ে রাখা এমন একটা বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রটানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পেট্রলপাম্পে তেল সরবরাহ কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তেল নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনো সীমাবাঁধা নেই।
বর্তমান মজুতকে একদমই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো পেট্রলপাম্পকে তেল কম বা নির্দিষ্ট পরিমাণ দেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যারা নিজ উদ্যোগে এমনটা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিপিসির চুক্তি অনুযায়ী জ্বালানি তেলের সরবরাহ লাইন এখনো স্বাভাবিক আছে। সরকার চাইছে দেশে জ্বালানি তেলের ব্যবহার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমাতে। এ লক্ষ্যে আমরা (বিপিসি) কাজ করছি।