ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছেন, ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আবরা প্রদেশের পার্বত্য এলাকায় এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে।
অবশ্য মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ এবং কেন্দ্রের গভীরতা ১০ ছিল কিলোমিটার। ফিলিপাইনের পাশাপাশি এর প্রভাব অনূভূত হয়েছে জাপান, তাইওয়ান এবং চীনেও।
ফিলিপাইনে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পরে বেশ কয়েকটি আফটারশক অনূভূত হয়েছে। তবে আরও আফটারশক এবং ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফিলিপিনো কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শক্তিশালী ভূমিকম্পে বেশ কিছু ভবনে ফাটল তৈরি হয়েছে।
এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে উৎপত্তিস্থল থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরবর্তী রাজধানী শহর ম্যানিলাতেও। ঘরবাড়ি কেঁপে উঠলে সেখানকার বাসিন্দারা দ্রুত রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভূমিকম্পপ্রবণ ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত ফিলিপাইন। বাংলায় যার অর্থ হয় ‘আগুনের গোলা’। ‘রিং অব ফায়ার’ এমন একটি কাল্পনিক বেল্ট যা ঘোড়ার খুর আকৃতির মতো প্রধানত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে। এটিকেই ৯০ শতাংশ ভূমিকম্পের কারণ বলে মনে করা হয়।