মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে ২৪ হাজার ২৬৭ জন আক্রান্ত থাকলেও মঙ্গলবার তা বেড়ে ২৪ হাজার ৮৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৯৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন। অন্যদিকে, আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৮৭ জন। তবে এক্ষেত্রে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, বন্যাকালীন বজ্রপাতে আক্রান্ত হন ১৬ জন, যাদের সবাই মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া এ সময়ে সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ৩৩ জন। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর পানিতে ডুবে মারা গেছেন ১০৩ জন।
এ পর্যন্ত বন্যায় সিলেট বিভাগে ৭৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৩, রংপুর বিভাগে ১৪ ও ঢাকা বিভাগে একজনসহ মোট ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। জেলাটিতে বন্যায় সৃষ্ট দুর্যোগে ২৯ জনের মৃত্যু হয়। আর সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলায় ১৬ জন এবং হবিগঞ্জে আটজন মারা যান।
এদিকে, বন্যার সময় নেত্রকোনায় ২০ জন ও জামালপুরে ১০ এবং ময়মনসিংহে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও লালমনিরহাটে নয়জন, শেরপুরে সাতজন, কুড়িগ্রামে পাঁচজন ও টাঙ্গাইলে একজন মারা গেছেন।