গ্রামীণফোন সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকগণ তাদের ফাইভ-জি সমর্থিত মোবাইল ফোনে নেট ব্যবহারে বর্ধিত এই স্পিড সুবিধা পাবে। তবে এজন্য ডিভাইস প্যাচ প্রয়োজন হবে। এই সেবা শুরুর বিষয়টিকে অপারেটরটি ‘অনেকটা ট্রায়ালের মতো’ বলে অভিহিত করেছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাজধানীর জিপি হাউসের ইনোভেশন ল্যাবে ফাইভজি ট্রায়ালের অভিজ্ঞতা নেন। এ ইনোভেশন ল্যাবটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেখান থেকে ধাপে ধাপে ফাইভজি টেস্ট ও এর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি শিগগিরই অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ফাইজি ট্রায়াল পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা উন্মোচনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য পূরণে আমরা ফাইভজি কানেক্টিভিটি ও এর ইউজ কেসের ট্রায়াল পরিচালনা করছি। আমি বাংলাদেশ সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, নেটওয়ার্ক পার্টনার, ইকোসিস্টেম প্লেয়ার এবং গ্রামীণফোন টিমের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। সবাই একসঙ্গে আগামী দিনের কানেক্টিভিটিকে (ফাইভজি) সম্ভাবনায় পরিণত করেছেন।
তিনি বলেন, ফাইভজি’র ট্রায়াল পরিচালনা ও ফাইভজি’র চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে প্রত্যাশী। বর্তমানে আমরা দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোরজি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা ভবিষ্যতের সক্ষমতা তৈরি, ফাইভজি ইকোসিস্টেম বিনির্মাণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, ব্লকচেইন ও রোবোটিকসের মাধ্যমে শিল্পখাতের জন্য বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী ইউজ কেস উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে টেলিনর গ্রুপ। টেলিনর গ্রুপের অংশ হিসেবে, উদ্ভাবনী নানা সল্যুশন নিয়ে আসতে আমরা কার্যকরি উপায়ে আমাদের দক্ষতার পূর্ণ ব্যবহার করব। এসব সল্যুশন প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের ডিজিটাল সমাজ ও অর্থনীতির অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা রাখবে। আমাদের বিশ্বাস, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসবে এবং প্রযুক্তিগত সল্যুশনের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ উন্মোচন এবং এর সদ্ব্যবহার করবে।
গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ফাইভ-জি সমর্থিত মোবাইল ফোনে ফাইভ-জি ব্যবহার করা যাবে। তবে এজন্য ডিভাইস প্যাঁচ প্রয়োজন হবে।