সেখানে বিক্ষোভকারীরা যেসব তাবুতে থাকতেন সেগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নেওয়ার পর এই অভিযান চালানো হলো।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কাছে ওই বিক্ষোভস্থলে অভিযানে শত শত সেনা ও পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন।
এই অভিযান কালে বিবিসির এক সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে। এক সেনা সদস্য ওই সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে অভিযানের ভিডিও মুছে দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের ওপর রনিল বিক্রমাসিংহে যে চড়াও হতে পারেন সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। শপথ নেওয়ার পর পরই তিনি বলেছিলেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করা কিংবা সরকারি কোনো ভবন দখল নেওয়া কোনো গণতান্ত্রিক কার্যক্রম নয়। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, এই ধরনের কোনো কিছু করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত বুধবার পার্লামেন্টে ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংহে। ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে তিনি ভোট পেয়েছেন ১৩৪টি। যদিও বিক্ষোভকারীরা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেননি। রনিলকে তাড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।
বিক্ষোভের মুখে গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এরপর সংসদে মাত্র একটি আসন থাকা ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসান মাহিন্দার ছোট ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তাতে জনরোষ কমেনি। তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপ ও পরে সিঙ্গাপুরে যান গোতাবায়া।
সেখান থেকে ১৪ জুলাই পদত্যাগপত্র পাঠান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এরপর সংবিধান অনুসারে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে।