মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৫১তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিস রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার,নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা-তুজ-জোহরা ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন।
সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক গবেষক আবু সালেক খান ও পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়'র বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাধারণ কল্পনাশক্তির অধিকারী ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের জন্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রণয়ণ করেছিলেন। রাষ্ট্র প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা, যথাযথভাবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
গবেষক আবু সালেক খান বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে "সরকারের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে, আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ ও তাদের অধীনে যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো কোনো নাগরিকের সঙ্গে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রকম বৈষম্যমূলক আচরণ করবে না।"
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি উপাধি পাননি, তিনি পেয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি উপাধি।
গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,জেল জীবনের অধিকাংশ সময় বঙ্গবন্ধুর কেটেছে নামাজ পড়ে, বই লিখে আর পবিত্র কোরআন শরিফ ও এর বাংলা অনুবাদ ও ইংরেজি অনুবাদ পড়ে। ৩২ নম্বর এর একজন কর্মচারীর কাছ থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু নিয়মিত তাহাজ্জত এর নামাজ পড়তেন।
গবেষক ফারহানা আক্তার বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকৃত অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে ব্যর্থ হয়েছে।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক কলহ বেদনাদায়ক। সভ্যতার চরম শীর্ষ পৌঁছেও আমাদেরকে এই বিষয়গুলো নিয়ে এখনো ভাবতে হয়। এটা পীড়াদায়ক।
গবেষক ফাতিমা তুজ জোহরা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার শিক্ষা পরিবার থেকেই শুরু করা উচিত।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রাজশাহী থেকে ড. মাহবুবুল হক ।