প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২, ৯:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁওয়ে বাস্তাবন্দি অবস্থায় মাহফুজা খাতুন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার পৌর শহরের টাঙ্গন ব্রীজের নিচে থেকে তাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের ক্বারী মোস্তফা কামালের মেয়ে ও ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কাওমী মহিলা মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্রী। তবে এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্ছল্যের সৃষ্টি হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাহফুজার ট্রাঙ্ক থেকে বেশ কিছু চিঠি উদ্ধার করে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গন ব্রীজের নিচে মাহফুজা খাতুনকে বস্তাবন্দি অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে কয়েকজন কাছে গিয়ে দেখতে পান সে নড়াচরা করছে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এ সময় মাহফুজা খাতুনের গলায় উড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল। তার পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, গুলজান নামে এক মহিলা দীর্ঘদিন থেকে তাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাকে বাড়ি থেকে গত ৩ মাস আগে বের করে দেওয়া হয়। গুলজানই এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানান তারা।
খাতুনে জান্নাত কামরুন্মেছা কাওমী মহিলা মাদরাসার মুহতামিম হযরত আলী বলেন, স্বাভাবিক নিয়মের মত বুধবার রাত ১১ টায় সবাই ঘুমিয়ে পরে। পরে রাতে নামাজের জন্য ওজু করতে গিয়ে ফেরত না আসলে তাকে দেখতে না পেয়ে তার সহপাঠিরা তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরে তার অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মাহফুজা শহরের একটি মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করেন। এ ব্যাপারে তার পরিবার বা মাদ্রাসার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।