প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২, ৯:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ও পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার দুই ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়ায ব্যাটারিচালিত তিন চাকার ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা টমটমে ছেয়ে গেছে,প্রধান সড়ক ও অলিগলি এসব অবৈধ যানবাহন ব্যাটারি বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ করে চালাতে হয় এবং সেই ব্যাটারি কয়েক ঘন্টা পর পর, আবার চার্জ করতে হয়।
উল্লেখিত এলাকা জুড়ে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য চার্জ করার গ্যারেজ একবার চার্জ করতে গ্যারেজ মালিকরা নেন ১৫০টাকা। এতে জড়িত রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মরত একশ্রেণীর অসাধু ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্থের বিনিময়ে অবৈধ কে বৈধতার খেতাব দিচ্ছেন।
সূত্রে জানা যায়, একটি টমটমের প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জ করতে ৭ঘন্টা অকাধারে চার্জে লাগিয়ে রাখতে হয়। এ অবৈধ টমটম রাস্তায় নিবিগ্নে চলাচল করতে,নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার নিয়ন্ত্রণাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়িকে মাসিক চুক্তিতে ম্যানেজ করে দাপিয়ে ঘুরেন সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তা জুড়ে,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন প্রতিনিধি বলেন বিদ্যুতের জন্য হাসফাস অবস্থা মানুষের, সারাদিন কষ্ট করে মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না বিদ্যুতের অভাবে,তাই অনতিবিলম্বে বিদ্যুৎ গিলে খাওয়া টমটমের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের শক্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
কথা হয় টমটম চালক সোনা মিয়ার সঙ্গে,তিনি বলেন শত শত মানুষ এই এলাকায় টমটম চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে কোন কারনে সরকার যদি বন্ধ করে দেয়,তাহলে এলাকা জুড়ে নেমে আসবে চুরি, ছিনতাই,ডাকাতির মত ঘটনা, কারণ অনেক বেকার এ পেশায় থেকে কোন মতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
রামু বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের এক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়। ব্যাটারি চালিত টমটমের গ্যারেজে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি, তবে চলমান সময়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে তাতে যে কোন সময় নির্দেশনা চলেও আসতে পারে।