প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২, ৯:২০ পিএম আপডেট: ১৯.০৭.২০২২ ৯:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জ্বালানি তেলের খরচ সাশ্রয়ে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন স্থগিত রেখে এলাকাভিত্তিক লোড শেডিং শুরুর পর দ্বিতীয় দিনের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে; যাতে পিক আওয়ারে কোথায় কখন বিদ্যুৎ থাকবে না তা জানিয়েছে ঢাকা ও উত্তরের দুই বিতরণ সংস্থা।
ঢাকার বড় অংশের বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ডিপিডিসি এবং উত্তরাঞ্চলের বিতরণ সংস্থা নেসকো বুধবারও এক ঘণ্টা করে লোড শেডিংয়ের তালিকা করলেও কোনো কোনো এলাকায় সূচিতে দুই বার বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার সময় রেখেছে।
তবে ঢাকার আরেক অংশ ও পাশের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি ডেসকোর সূচি প্রথম দিনেই ওলটপালট হয়ে গেছে। মঙ্গলবার বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় পরিকল্পনার চেয়ে বেশি লোড শেডিং করতে হয়েছে।
এজন্য ডেসেকো বুধবারের তালিকা প্রকাশ করেনি। প্রথম দিনের লোড শেডিং সূচি পরিপালন করতে না পারাকে এর কারণ হিসেবে তুলে ধরেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আমির আলী।
তাদের আওতাধীন এলাকায় যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ার কথা ছিল, তা না আসায় বেশি লোড শেডিং করতে হয়। যে কারণে সূচি অনুসরণ করা যায়নি বলে তিনি জানান।
জ্বালানি সাশ্রয়ে উচ্চ ব্যয়ের ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের পর সরবরাহ সংকটে দেশজুড়ে প্রতিদিন সূচি ধরে এক ঘণ্টা করে লোড শেডিং করা শুরু হয় মঙ্গলবার থেকে।
আগের দিনই মঙ্গলবারের লোড শেডিংয়ের সূচি প্রকাশ করেছিল ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি ডেসকো। বুধবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নেসকোর লোডশেডিং সূচি।
মঙ্গলবার ডিপিডিসি সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে সম্ভাব্য লোড শেডিংয়ের মোট পরিমাণ ধরে ১০০ মেগাওয়াট। তবে বিকাল নাগাদ লোডশেডিং ১২৫ মেগাওয়াটে পৌঁছে গিয়েছিল।
এদিন অনেক এলাকায় সূচি ধরে লোড শেডিং করা হলেও কোথাও কোথাও দুইবার করেও বিদ্যুৎ গেছে। আবার কোনো এলাকায় সূচি থাকলেও বিদ্যুৎ যায়নি।
রাজধানী ঢাকার বেশিরভাগ এলাকা ও নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দ্বায়িত্বে রয়েছে ডিপিডিসি। কোম্পানিটির গ্রাহক প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ গ্রাহক।
ডিপিডিসির আওতাধীন ৩৬ এলাকায় মধ্যে বেশিরভাগ জায়গায় একবার লোড শেডিং অর্থাৎ এক ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার সূচি রয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকার একাধিকবার লোড শেডিং অর্থাৎ একঘন্টার বেশি সময় বিদ্যুতহীন রাখারও সূচি রয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার আওতাধীন ৩৯টি উপজেলা শহর ও শহরাঞ্চলের প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে নেসকো।
আদাবর
নারায়ণগঞ্জ (পশ্চিম)
শ্যামলী
তেজগাঁও
রাজশাহী জোন
রংপুর জোন