প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২, ৭:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সূর্যের প্রখরতা, ভ্যাপসা গরম ও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে জনজীবনে। খেটে খাওয়া মানুষ কাজের ফাঁকে গাছের নিচে ও ঠান্ডা স্থানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। গরমের কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে কম বের হচ্ছেন। প্রচন্ড গরমে কাজ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
সারাদেশের ন্যায় বৃষ্টি শুন্যতা দেখা দিয়েছে উত্তরজনপদের মৎস্য ও শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলাতেও। গত দেড় মাসের ব্যাবধানে এ উপজেলায় কোন বৃষ্টির দেখা নেই। এর ফলে এ উপজেলায় রোপা আমন ধান রোপন চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।
আষাঢ় মাস শেষ, শ্রাবণ শুরু হলেও এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টি না হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উপজেলায় বৃষ্টির দেখা নেই। খেটে-খাওয়া মানুষকে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে সড়কগুলো ফাঁকা হতে শুরু হচ্ছে।
ভ্যান চালক আব্দুল মতিন বলেন,কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরম পড়েছে। গরমের কারণে ভ্যান চালানো অনেক কষ্ট হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত গরমের কারণে লোকজন বাহিরে কম বের হচ্ছে। ফলে খুব একটা যাত্রি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আমাদের আয় রোজগার কমে গেছে।
উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজাদ প্রামানিক জানান, অনেক কষ্টে মাঠেরে পাশে একটি ডোবা থেকে পানি সেচে প্রায় এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপন করেছি। কিন্ত দুই সপ্তাহ পর থেকে রোপনকৃত গাছগুলো পুড়ে যেতে বসেছে। ফেটে যেতে বসেছে জমির মাটি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের অতিরিক্ত গরমের কারনে রোপা আমন ধান রোপনে কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত হলেই পুরোদমে রোপা আমন ধান রোপন কার্যক্রম শুরু হবে।
অন্যদিকে কিছুটা আশাবাদী আবহাওয়া অধিদপ্তর। নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯ তারিখের পর থেকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।তবে এ জেলায় কেমন বৃষ্টিপাত হবে সেটা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে সার্বিকভাবে বৃষ্টির একটা পূর্বাভাস রয়েছে।