#পরের জন্য উৎসর্গের মাঝেই শান্তি নিসর্গ: অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #ঈদ আনন্দ বয়ে আনুক সবার চিত্তে: উৎপল দাস।
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০২২, ১০:০৯ পিএম আপডেট: ১২.০৭.২০২২ ১০:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আসলে ঈদুল আযহা হচ্ছে আত্ম সংযম, পরিশুদ্ধ একজন বিশুদ্ধ মানুষ হওয়া এবং ত্যাগের মহিমায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করা। সকল ধর্মে আমি মনে করি এই বিষয়টিকে গুরত্ত দেওয়া হয় যে, মানুষের জন্য কিছু করা, পরের জন্য নিজের সব কিছু বিলিয়ে দেওয়া। এর মধ্যেই শান্তি নিসর্গ আছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৬৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আসলে ঈদুল আযহা হচ্ছে আত্ম সংযম, পরিশুদ্ধ একজন বিশুদ্ধ মানুষ হওয়া এবং ত্যাগের মহিমায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করা। সকল ধর্মে আমি মনে করি এই বিষয়টিকে গুরত্ত দেওয়া হয় যে, মানুষের জন্য কিছু করা, পরের জন্য নিজের সব কিছু বিলিয়ে দেওয়া। এর মধ্যেই শান্তি নিসর্গ আছে। আমাদের আশে পাশে বহু মানুষ আছে যারা নিজের জীবনকে অন্যের জন্য বিসর্জন দিয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন যৌবন সহ সব কিছুই বিসর্জন দিয়েছেন এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য। এদেশকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন দেশে রুপান্তর করার জন্য নিজের জীবনের সব কিছুই বিসর্জন দিয়েছেন। এবং তার জন্য দীর্ঘ ১৪ বছর তিনি কারাবরন করেছিলেন। কিন্তু তিনি এক পা বিচ্যুতি হননি সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য। বঙ্গবন্ধু যেভাবে সমস্ত অপচেষ্টাকে মাড়িয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন ঠিক একইভাবে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকল প্রতিবন্ধকতা, ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে এই পদ্মা সেতুর বিনির্মাণ করলেন। বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে যেভাবে তাঁর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সামনে রেখে যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেখানে এটা আসলেই আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। এক সময় যে বাংলাদেশ ছিল দরিদ্র ও অনুন্নত সেই বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে।
উৎপল দাস বলেন, ঈদ মানে হলো আনন্দ, খুশির দিন। ঈদ মানেই আনন্দ উল্লাস। ঈদ মানে ধনী-দরিদ্র মিলে মিশে এক সাম্যের আনন্দ। পেছনের দুঃখ দুর্দশাকে ভুলে গিয়ে আনন্দের উৎসবে মিলিত হওয়াই ঈদ। ঈদ-উল-আজহার আছে আরেকটি বিশেষ দিক। এদিন সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেয়া হয়। ঈদ উল আজহার তাৎপর্য তাই মুসলিমদের কাছে বিশেষ অর্থ বহন করে। ঈদ আনন্দের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে: ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের নিকট উৎসবের আমেজ। বাঙালির জীবনে ঈদ সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। ধনী-গরিবের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একই কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসবের আনন্দ বাঙালির জীবনে ভিন্নমাত্রা প্রদান করে থাকে। মনে রাখতে হবে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যেন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারেন সেই প্রচেষ্টা থাকতে হবে। বছরজুড়ে নানা প্রতিকূলতা, দুঃখ-বেদনা সব ভুলে ঈদের দিন মানুষ সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলিত হন। ঈদে আমাদের দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি ঘটে আর পরস্পরের মাঝে ঈমানী ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয় এবং নিজেদের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ দূর হয়ে এক স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।