বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আব্দুর রউফ
তালুকদার। তাকে ১২তম গভর্নর হিসেবে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পক্ষে ডেপুটি গভর্নররা নতুন গভর্নরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টায় আব্দুর রউফ তালুকদার বাংলাদেশ ব্যাংকে আসেন। এ সময় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাকে বরণ করে নেওয়া হয়। নতুন গভর্নরের যোগদান উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদার যোগদানপত্রে সই করেন। তিনি ফজলে কবিরের স্থলাভিষিক্ত হয়ে দেশের ১২তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
এর আগে ১১ জুন অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. জেহাদ উদ্দিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২-এর আর্টিকেল ১০(৩) এবং ১০(৫) অনুযায়ী অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে সরকারি চাকরি হতে অবসর গ্রহণ এবং অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তার যোগদানের তারিখ থেকে চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।’
আব্দুর রউফ তালুকদার ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই অর্থ-সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে আসেন। তার আগে তিনি এই বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব, উপ-সচিব ও যুগ্ম-সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া অর্থ বিভাগের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা রউফ সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন ‘সচিবালয় ক্যাডারে’র কর্মকর্তা হিসেবে। দেড় যুগ আগে সচিবালয় ক্যাডার বিলুপ্ত করে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করা হয়।
রউফ তালুকদার চাকরিজীবনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন, বিশেষ করে দেশের বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে অর্থনীতির ওপর কর্মশালায় অংশ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করেন। পরে সেসব অভিজ্ঞতা নিজ দেশে কাজে লাগান। মহামারি করোনার সময় দেশের ক্রান্তিকালে অর্থনীতি চাঙা করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রউফ। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার পরামর্শ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বেশ প্রশংসনীয়।
অর্থ বিভাগের বিভিন্ন পদ ছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের উপ-রেজিস্ট্রার এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিবের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে আব্দুর রউফ তালুকদারের। এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী সচিব ছিলেন তিনি।