প্রকাশ: বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২, ৩:৪২ এএম আপডেট: ০৬.০৭.২০২২ ৩:৪৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সবচেয়ে বড় ময়না নামের ২০ মন ওজনের ষাড় গরুটি বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারি আব্দুস সালাম। ঈদের মাত্র আর কয়েক দিন বাকী আছে। এখন পর্যন্ত ময়নার ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ময়নার দাম হাঁকছেন ৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের খামারি আব্দুস সালাম কোরবানীর পশুর চাহিদা মেটাতে তিনি গত দুই বছর ধরে নেপালী জাতের ৮০০ কেজি ওজনের ময়না ও শাহী ওয়াল জাতের ৪৪০ কেজি ওজনের রবিসহ ৪টি ষাড় গরু লালন পালন করছেন।
ক্ষুদ্র খামারি আব্দুস সালাম বলেন, আমি খুব আশা কইরা নিজে না খাইয়া ময়নারে খাওয়াইছি। গত দুই বছরে আমার নিজের পরিশ্রম ছাড়াও তার পেছনে খরচ অইছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। এহন এই ষাড়টিকে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা বেচতে করতে না পারলে আমার পথে বসন লাগবো। কিন্তু এহন পর্যন্ত ময়নার দাম অইছে মাত্র আড়াই লাখ টাকা। সৌখিন ক্রেতা পাইলে আমি নিজ বাড়ী থেকেই ময়নাকে বিক্রি করতে চাই।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সুত্র জানায়, নালিতাবাড়ীতে কোরবানীর পশুর কোন ঘাটতি নেই। চাহিদা মেটাতে ৯ হাজার ৮৮৭টি পশুর বিপরীতে ১০ হাজার ৩৮৯টি পশু প্রস্তুত আছে। তবে খামারীরা বলছেন পশু খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব পশুর উৎপাদন খরচ পড়েছে