প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২, ৯:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুকে জবাই ও মাংস কাটার দা, বটি, ছোড়া, চাকু, চাপাতি, কুড়ালসহ বিভিন্ন ধরনের ধারালো লোহার যন্ত্রপাতির সান দিতে কামারের দোকানে ভিড় বাড়ছে।
অপরদিকে নতুন যন্ত্রপাতি তৈরীর বিভিন্ন কাজকর্ম করে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন দোকানীরা। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ ও ১৫০ টাকায় পুরনো এসব বটি, চাপাতি, ছোট বড় ছুরির সানের মজুরী ধরা হচ্ছে। এছাড়াও রেডিমেট ধারালো যন্ত্রপাতি বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় কামারের দোকানে। এলাকার লোকজন পশু কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির খোঁজে সকাল-সন্ধ্যা কামারদের কাছে ভিড় জমাচ্ছেন। টুং-টাং শব্দে ঈদের আনন্দ দোলা দিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও রাস্তার পাশে অস্থায়ীভাবে কামারের দোকান গড়ে উঠেছে। কয়লার আগুনে পুড়িয়ে পুরনো দা, বটি, ছুরি, চাপাতি ঘষা মাজা ও সান দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নতুন নতুন যন্ত্রপাতি তৈরীর অর্ডারও নেওয়া হচ্ছে। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এসব কামারের দোকানে অতিরিক্ত শ্রমিকরা কাজ করছেন।
স্থানীয়রা জানান, পশুর হাটগুলো এখনও জমে উঠেনি। এরই মধ্যে গরু-ছাগল কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় চাকু, ছুরা, বটি, চাপাতিসহ অন্যান্য ধারালো যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। কোরবানির পশু কেনার পরে এসব যন্ত্রপাতির সান দেওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। তাই এ সমস্ত কাজ আগে ভাগেই সবাই সেরে রাখার প্রতিযোগীতা করছেন। এতে কামারের দোকানে মানুষের ভিড় পড়ছে। অন্যদিকে দেখা গেছে, গরু-ছাগল জবাই ও মাংস কাটার কাজে ব্যবহারের জন্য কাঠের খাইটা, পাটি, পলেথিন, চাঙ্গারিসহ অন্যান্য উপকরণ সামগ্রী কিনতে স্থানীয় হাটবাজারে মানুষ ভিড় করছেন।
শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের হরপাড়ায় কামার দোকানী হৃদয় মন্ডল ও সুনীল জানান, ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন কাজকর্ম করে ব্যস্ত থাকবেন তারা। পুরনো বটি, চাপাতি ও বিভিন্ন চাকু-ছুরির সান দিতে মানুষ বেশী আসছেন এখানে। অনেকে রেডিমেট যন্ত্রপাতি কিনে নিচ্ছেন। সারা বছর এ কাজে তেমন ব্যস্ততা না থাকলেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দোকানে অনেকাংশে কাজের চাপ বাড়ে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মানুষের ভিড় ততই বাড়ছে।