প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২, ৬:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন বিএনএস গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এন এইচ বুলু।
আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ঢাকা মহানগর প্রথম যুগ্ন জেলা জজ আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়েছেন।
পরে সুপ্রিম কোর্টের ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এম এন এইচ বুলু বলেন, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছি।
তিনি বলেন, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক, বনানী শাখা কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্দনে ও কু-পরামর্শে ২০১৫ সালের ৪ মার্চ মিথ্যা বর্ণনা দিয়া আমার বিরুদ্ধে বনানী থানার মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তারা আমাকে আমির ফুড প্রোডাক্টস নামীয় প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের নমিনী হিসাবে উল্লেখ করে। বিষয়টা আমি জানতে পারলে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ফোনের মাধ্যমে জোরালো অভিযোগ করি যে, আমি ওই অ্যাকাউন্টের কোনো নমিনী নই। অ্যাকাউন্টের কোনো নমিনী ফরমে আমি স্বাক্ষর করিনি এবং ওই অ্যাকাউন্ট খোলাসহ কোন কার্যক্রমে আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নাই। যার কারণে পরবর্তী সময়ে আমি সিএমএম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ওই মামলা হতে অব্যাহতি পাই।
পরবর্তী সময়ে ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের দায়ের করা ওই মিথ্যা মামলার সূত্র ধরে সিআইডি আমার বিরুদ্ধে পুনরায় বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় আমির ফুড নামীয় হিসাব থেকে ১২ লাখ টাকা আমার হিসাবে জমা দেখানো হয়। কিন্তু ওইদিন আমির ফুড নামীয় হিসাব থেকে আমার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা আসেনি। ওই মামলায় আমি অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ ৪ মাস বিনা বিচারে জেলহাজতে ছিলাম। এই সময়ে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ জুন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হই এবং এখন পর্যন্ত আমি শারীরিক নানারকম সমস্যায় ভুগছি এবং পায়ের সমস্যার কারণে ঠিকমত হাঁটাচলা করতে পারি না।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিথ্যা মামলার কারণে ৪ মাস বিনা বিচারে জেলহাজতে থাকাকালীন আমার ফ্যাক্টরির জন্য কাঁচামাল আমদানি করা সম্ভব না হওয়ায় আমার সমস্ত ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যায় এবং আমার শতশত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। এছাড়াও আমার সামাজিক, ব্যাংকিং কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। যার কারণে আমি ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছি।