প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২, ৪:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ৬ মাস পরে গত পহেলা জুলাই সকল ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি স্থগিত হলেও থেমে নেই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আস্থাভাজন নেতা কর্মীদের চাদাবাজি।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মাসিক প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা চাদা তোলে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের আস্থাভাজন দুই নেতা। টিএসসিতে মোট চায়ের দোকান আছে ১১ টি যেখান থেকে দৈনিক ভিত্তিতে দুইশত টাকা করে তোলা হয়, এবং তিনটি খাবার হোটেল থেকে দৈনিক ৬০০ করে এবং টিএসসি তে অবস্থিত বড় একটি খাবার হোটেল থেকে দৈনিক ভিত্তিতে ২০০০ টাকা করে তোলা হয়। পরবর্তীতে মাস শেষে আস্থাভাজন দুজন নেতার হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়।
ভুক্তোভোগী এক দোকানদার ভোরের পাতাকে বলেন, অনেকদিন বেচা কেনা না হলেও টাকা দিতে হয়, এমনকি দোকান কোন কারণে বন্ধ থাকলেও তাদেরকে টাকা দিতে হবে। কমিটি স্থগিত এর পরে গত শনিবার ও টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র আরো জানায়, জবি টিএসসির পাশে ফুটপাতে নয়টি ভ্যান রয়েছে। প্রতিটি ভ্যান থেকে দৈনিক দেড়শত টাকা করে চাদা তোলার অভিযোগ রয়েছে সভাপতি গ্রুপের কর্মী ও ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রবি ও সাধারণ সম্পাদক এর কর্মী ও ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মো মাসুদ রানা। তারা দুজনেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ অস্বীকার করে রবিউল ইসলাম রবি বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার ব্যক্তিত্বের সাথে যায়না। আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি বা অন্য কোথাও থেকে এক কাপ চাও বাকিতে খেয়েছি। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্তা করার জন্য এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আরেক অভিযুক্ত মাসুদ রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায় নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চেয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ এর চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায় নি।