দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য বিশাল স্বপ্ন পদ্মা সেতু: ড. বি এম রাজ্জাক
প্রকাশ: সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২, ১০:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পদ্মা সেতু আজ পূর্ণতা পেয়েছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যখন পদ্মা পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জে গেলেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর টুঙ্গিপাড়ায় এটিই তার প্রথম সফর। বর্তমানে এই পদ্মা সেতুটি যখন উন্মোচন হয় তখন আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আশার আলো নিয়ে এসেছে। আমরা বুক বেধে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম দীর্ঘদিন ধরে সেটা আজকে বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৫৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক, লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রভাষক ড. বি এম রাজ্জাক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. বি এম রাজ্জাক বলেন, আমি শুরুতেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজ ভোরের পাতা সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। আজকের সংলাপের বিষয় খুবই চমৎকার। আমার গ্রামের বাড়ি বরিশাল। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য বিশাল স্বপ্ন পদ্মা সেতু। আমার ছোট বেলার কিছু স্মৃতি এখন মনে পরছে। ছোট বেলায় যখন এই পদ্মা পারি দিতাম তখন বিভিন্ন সময় বিশাল ঢেউ ও ঝড়ের সম্মুখীন হয়ে এই পদ্মা পারি দিয়েছিলাম আমরা। অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পদ্মা পারি দিতাম। একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার সাথে হয়েছে যে, এই পদ্মা পারি দিতে গিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনায় আমার আপন বোন ও দুই ভাইগ্না মারা যায়। আমরা যদি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দিক একটু বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পাবো কোন না কোন মানুষ এই পদ্মা পারি দিতে গিয়ে নানান সময় নানান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এবং বরিশাল থেকে অনেকেই ঢাকায় আসার পথে অনেকই গাড়িতে বা মাইক্রোতে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই পদ্মা সেতুটি যখন উন্মোচন হয় তখন আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আশার আলো নিয়ে এসেছে। আমরা বুক বেধে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম দীর্ঘদিন ধরে সেটা আজকে বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এর কারণে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি এই জন্য যে, তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে এই পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখে এসেছেন এবং আমাদের ২০২০ সালে এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।