প্রকাশ: রোববার, ৩ জুলাই, ২০২২, ১১:০৪ পিএম আপডেট: ০৩.০৭.২০২২ ১১:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে একসময়ের প্রভাবশালী নেতা মুকুল বোস। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছিল তার। নির্মল রঞ্জন গুহ কত বড় মাপের একজন নেতা ছিলেন তার প্রমাণ আমরা পেয়েছিলাম করোনাকালীন সময়ে তার কর্মকাণ্ডে। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৫৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক, এ্যাড. কাজী নজীবুল্যাহ হিরু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
উৎপল দাস বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে একসময়ের প্রভাবশালী নেতা মুকুল বোস। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছিল তার। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় ওবায়দুল কাদের, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে মুকুল বোসও ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জরুরি অবস্থার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০০৯ ও ২০১২ সালের জাতীয় সম্মেলনে মুকুল বোস কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ ছিলেন। এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন অনুষ্ঠানের আড়াই মাস পর ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মহামারী আর বন্যার সময় নির্মল রঞ্জন গুহ দাদা সারা দেশে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাকে হারানো, আসলেই আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। সে বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের জন্য, মানুষের জন্য আরও অনেক কিছু করে যেতে পারতেন। তিনি নিয়মিত আমাদের ভোরের পাতা সংলাপে অংশগ্রহণ করতেন। দাদাকে যেকোনো সময় যেকোনো বিষয়ে যখন আমাদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতাম তিনি শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সংলাপে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।