শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
সিআরআই সমন্বয়ক তন্ময়কে নিয়ে নোংরামি করছে কারা?
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ৩ জুলাই, ২০২২, ৭:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই)’র সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নোংরামি শুরু করেছে একটি মহল। বিশেষ করে গাইবান্ধার একজন এমপির ঘনিষ্ঠজনরা নিজেদের ফেসবুকে তন্ময় আহমেদ ও তার পরিবারকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন শুরু করেছে। এ অবস্থায় নিজের ফেসবুকে তন্ময় আহমেদ নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। ভোরের পাতার পাঠকদের জন্য তন্ময় আহমেদের স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।  

‘একটা বিষয় একদম পরিষ্কার করে দেই - আমি লোকাল পলিটিক্স করি না। তার কারণ আমরা যারা ঢাকায় বা সেন্ট্রাল পেরিফেরিতে রাজনীতির সাথে যুক্ত তাদের কোন হক নেই লোকাল পলিটিক্স এ যেয়ে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে পোস্ট পদবী নিয়ে নিজেদের যায়গা করা। যদি লোকালি ৫/৬ বছর সময় দিয়ে নিজেকে লোকাল কর্মীর কাছে পপুলার করতে পারি কেবলমাত্র তখন লোকাল পলিটিক্স এ যুক্ত থাকার রাইট কারো আছে না হলে নাই। লোকাল পলিটিকাল মানুষের হক সবার আগে লোকাল পলিটিক্স এ। 
এখন একটা সিম্পল প্রশ্ন - 
তন্ময় আহমেদ কাদের জন্য সমস্যা, তার প্রতিপক্ষ কারা? 
তন্ময়কে ব্যক্তিগত প্যাড়ায় রাখলে সুবিধা কাদের? 
উত্তর সোজাসাপ্টা -- চরম মাত্রায় শেখ হাসিনা বিরোধী , সাঈদীর ভক্ত, জামাত শিবির, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আর একই সাথে  তারেক চোরার সরাসরি পয়সা পাওয়া লোকজন। 
আজকে ঢাকা শহরের জ্যাম খেয়ে বাসায় ফিরলাম ১ টায় - SOS লিখে একটা কল আসলো সেজন্য রিসিভ করলাম। তারপর স্ক্রিন শট দিলো কিছু। 
অবাক করা বিষয়, গাইবান্ধার একজন অজনপ্রিয় জনপ্রতিনিধির পিএস তার সাঙ্গ পাঙ্গদের ফোন করে টেক্সট দিচ্ছে পোস্ট করার জন্য। তারা পোস্ট দিচ্ছে -- 
// 
আমি (তন্ময়) উপজেলায় শিবিরের তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ছিলাম পরে সিস্টেমে বুয়েটে এসে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এরপর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি তে,আবার আমার কর্মস্থল CRI কে লিখতেও বাদ রাখেনি।তারা এও জানেনা CRI এ আমার কোন রকম মামাতো ভাই চাকরি করে না।//

যাই হোক এই লোকগুলার জন্য করুণা হয় কতোটা নির্বোধ হলে এরকম কাজ করে? আগেই বলে দেই আপনাদেরকে ডিজিটাল মামলা দেবো না বাট আপনাদের বিগ বসের ভুল ক্যালকুলেশনের ফলাফল ভোগ করবেন। 

আজকে গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে জিরো করে দিয়েছেন, কি ভাবছেন  নেত্রী কিছু জানেনা? মোটেই না। কর্মীদের পায়ের নীচে পীষে নেতাগিরি চলে না। অন্তত জননেত্রী শেখ হাসিনার দলে না। 
যাই হোক এইসব নিয়ে সময় নষ্ট করার সময় পাবো না -- পোস্ট এটাই শেষ। বিবেচনার ভার আমার বড়ভাই, পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, ছাত্রলীগের সহযোদ্ধা ও অনলাইন অগনিত ভাই ও যোদ্ধাদের উপর ছেড়ে দিলাম। 
নিচে কিছু স্ক্রিনশট দিলাম -- আমাকে শিবির বলা একজনের কৃতকর্ম দেখানোর জন্য। বাকিদের যাদের যে চিনেন জিজ্ঞাসা করেন অজনপ্রিয় জনপ্রতিনিধির পি এস ফোন করে পোস্ট করতে বললেই কেন করবে?
যখন তাসনিম খলিল বিডিনিউজ কে বলেছিল যে, গাইবান্ধার এক শিবির নেতা নাকি তারে বলেছিল আমি শিবির করতাম স্কুলে, সেইদিনই বুঝেছিলাম এই প্রোপাগান্ডার জনক সেই পিএস। কারণ সে জানেই না, আমি এস এম স্কুলে (সরকারি) পড়েছি ক্লাশ ৯ আর ১০,বাকিটা প্রাইভেট স্কুলে। কারণ ঐ লোকের কিছু জানা লাগে না, সে যা বলে সেটাই নাকি গাইবান্ধায় আইন -- তার বসের নির্দেশ। 
গাইবান্ধার সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনুরোধ করবো - ভয় পাবেন না এই ভন্ডদের ভন্ডামির প্রতিবাদ করুন। আপনি বা আপনারা একা নন। 
পরিশেষে: 
আমার মামাদের উচিত শিক্ষা হয়েছে ২০০৫ সালেই শিবিরের মামলা খাওয়ার পর, তারা এরপর বুঝেছে হয়তো জামাতের কাছে বিএনপি নস্যি।
সবচেয়ে বড় কথা তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ে তন্ময় আহমেদ চলে না,পড়ালেখা করেছি বাপের টেকায় আর অবস্থান তৈরী করেছি নিজের যোগ্যতায়, কারো পদলেহন করে নয়। 
শিবির বলে তন্ময়ের টর্চার সেল,সালা নাস্তিক ওরে কোপাইছে ঠিক করছে আর এরা বলে তন্ময় শিবির -- সে আওয়ামী লীগের সাইবার টিমে ঝাড়ুদেয়। সে জামাতের চর কিন্তু সে কি করে আমরা জানিনা -- বিচার চাই --তদন্ত চাই। 
আমি বলি আমার আইডি  আর পেজ (Tonmoy Ahmed)  টা ঘুরে আসো ভাই, তোমার আর তোমার বন্ধুদের সবার পার্টির জন্য কন্ট্রিবিউশন আমার ৭ দিনের সমান না!’’



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]