এর আগে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। সেই অপবাদ সহ্য করেছেন আমার পরিবারের সদস্য ছোট বোন শেখ রেহানা, তার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আমার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আমার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সহকর্মী। তারা চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন। আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
সুধী সমাবেশ শেষ করে টোল দিয়ে পদ্মা সেতুতে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে তিনি নিজে টোল প্রদান করেন। পরে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সড়কপথের শুভ উদ্বোধন করেন। মোনাজাতের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। সকাল ১০টায় সভা মঞ্চে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
কার্যসূচি অনুযায়ী, মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। অংশ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
এসময় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন।
পদ্মা সেতুর নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকল্প থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। এরপর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে।