সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২, ১১:২৯ এএম আপডেট: ২৫.০৬.২০২২ ১১:৩৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে। এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের।

শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগ মুহূর্তে সুধী সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতেই এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, সৃজনশীলতা, সাহসিকতা, সহনশীলতা এবং প্রত্যয়। আমরা এই সেতু করবোই, সেই জেদ। ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের সেতু নির্মাণ দুই বছর বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু আমরা হতোদ্দম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর মুখ দেখেছি। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। ৪২টি স্তম্ভ যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা মাথা নোয়াইনি। আমরা কখনো মাথা নোয়াবো না। বাঙালি জাতি কখনও মাথা নোয়ায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাথা নোয়াননি, তিনি আমাদের মাথা নোয়াতে শেখাননি, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। তারই নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের মানুষের সাহস ও আত্মমর্যাদার কথা উল্লেখ করে শেষ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর এক বিদেশি সাংবাদিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বাংলাদেশের কোনও সম্পদ নেই, আপনি কীভাবে দেশ গড়ে তুলবেন? বঙ্গবন্ধু  এর জবাবে বলেছিলেন, ‘আমার মাটি আছে, মানুষ আছে, তা দিয়েই দেশ গড়বো।’ সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের অর্থনীতি সচল আছে। অনেক প্রকল্প নিয়েছি, পদ্মা সেতু তৈরি করেছি। বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যায়নি। বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনা মোকাবিলা করেছে, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ মোকাবিলা করেও গতিশীল আছে। বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ, জনগণ সাহসের ঠিকানা। বাংলাদেশের জনগণকে আমি স্যালুট জানাই।

তিনি বলেন, অনেকে বলেছিল পদ্মা সেতু সম্ভব না, বিরোধিতা করেছিল, ষড়যন্ত্র করেছিল; আমি মনে করি তাদের চিন্তার ও আত্মবিশ্বাসের দৈন্যতা আছে। তবে আজকের পরে তাদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়বে বলে বিশ্বাস করি- না, বাংলাদেশ পারে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরান বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তিনি। 

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই সুধী সমাবেশ থেকেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঞ্চের সামনে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, মাহবুব-উল হক হানিফ, বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর দাফতরিক নাম ‘পদ্মা সেতু’। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু রাজধানীর সঙ্গে মেলবন্ধন সৃষ্টি করলো দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলাকে। দ্বিতল বিশিষ্ট দেশের দীর্ঘতম এই সেতুতে গাড়ি ও রেল দুটোই চলবে। সেতু নির্মিত হয়েছে কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে। সেতুতে থাকছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পরিবহন সুবিধা। মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া, মাদারীপুর জেলার শিবচর এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরার সীমান্তবেষ্টিত পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক রয়েছে ১২ দশমিক ১২ কিলোমিটার।

১৯৯৯ সালে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর। এরপর করোনা মহামারীতেও এক দিনের জন্য কাজ থেমে থাকেনি; দীর্ঘ সাত বছরের দিনরাত হাজারও মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাস্তবে রূপ নিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]