প্রকাশ: শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২, ১:০৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলেছে। পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়, এটি আমাদের উন্নয়ন, অহংকারের প্রতীক। আত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয়, যোগ্যতার প্রতীক। আমি শুধু একটি কথায় বলতে চায় যে যা সম্ভব ছিল না তা সম্ভব হয়েছে এবং সকল কৃতিত্ব একমাত্র জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সাহস দেখিয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি আগামীতে তার নেতৃত্বে এর থেকেও আরও বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বাংলাদেশে। পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাঙালির গর্বের আরেকটা নতুন সংযোজন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৪৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহাজাদা, কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, পদ্মার দুই তীরের সঙ্গে সেতুবন্ধ তৈরি এক সময়ের অসম্ভব ভাবনাকে সম্ভব করে তুলছে বাংলাদেশ। আর এই স্বপ্ন সম্ভাবনার নাম হলো পদ্মা সেতু। কোটি মানুষের স্বপ্ন জড়িয়ে, অর্জনের গৌরব মেখে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়েছে কোটি বাঙালির স্বপ্নের এই সেতুটি। আর এই অসম্ভবটি সম্ভব করেছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের একটি প্রকল্প। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন। আমাজনের পর সবচেয়ে খরস্রোতা পদ্মা সেতুর বুক চিরে ১২৮ মিটারের বিশ্বের গভীরতম পিলার গাড়া খুব সহজ কাজ ছিল না। এর জন্য বিশেষ হ্যামার জার্মানি থেকে করে সংগ্রহ করতে হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের কারণে সেতু নির্মাণের সময় খানিকটা বেশি সময় লেগেছে কিন্তু তা সর্তেও আজ আমরা একটি সেতু পেয়েছি যা বছরের পর বছর সময় ধরে আমাদেরকে সেবা দিয়ে যাবে। আশেপাশের জনগণ সর্বদাই দেখেছেন বাস্তবায়নকারী অংশীজনেরা কি নিষ্ঠার সাথে দিনরাত কাজ করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা ও আর্থ-সামাজিক মূল্যায়নে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। এটি বাংলাদেশের এই পর্যন্ত সর্ববৃহৎ ভৌত অবকাঠামো। এই সেতুর সাথে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং জাতি হিসেবে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প জড়িত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করছি আমরা। তার হাত ধরেই এক সময় উন্নত দেশের সোপানেও পদার্পণ করবে বাংলাদেশ।