প্রকাশ: শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২, ১:০৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলেছে। পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়, এটি আমাদের উন্নয়ন, অহংকারের প্রতীক। আত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয়, যোগ্যতার প্রতীক। আমি শুধু একটি কথায় বলতে চায় যে যা সম্ভব ছিল না তা সম্ভব হয়েছে এবং সকল কৃতিত্ব একমাত্র জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সাহস দেখিয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি আগামীতে তার নেতৃত্বে এর থেকেও আরও বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বাংলাদেশে। পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাঙালির গর্বের আরেকটা নতুন সংযোজন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৪৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহাজাদা, কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
এস এম শাহাজাদা বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে গিয়েছে। এটা আজ উদ্বোধন হবে। এটার জন্য সাড়া পৃথিবীবাসী আকুল অপেক্ষায় বসে আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ইতিমধ্যে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। পদ্মার তার সাহসিকতার কাছে এই মুহূর্তে একটি নিছক ছোট্ট একটি বিষয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সাহস দেখিয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি আগামীতে তার নেতৃত্বে এর থেকেও আরও বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বাংলাদেশে। পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাঙালির গর্বের আরেকটা নতুন সংযোজন। আমাদের অন্যতম অহংকার ও গৌরবের প্রতীক। সব ষড়যন্ত্র, প্রতিরোধ আর বিরোধিতা পেরিয়ে পদ্মা সেতু আজ পৃথিবীর মানচিত্রে দৃশ্যমান। পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন যে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে সে আত্মবিশ্বাস দিয়ে আরও অজস্র রূপকল্পকে অর্জন করতে সক্ষম হবে। এই আত্মবিশ্বাস দিয়েই বাংলাদেশ উঠে দাঁড়াবে, সারা পৃথিবী বিস্মিত হয়ে তাকাবে বাংলাদেশের দিকে। যদি পদ্মা সেতুটা না হতো তাহলে আমাদের কি হতো তাহলে বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত একটি নেহায়েত মিথ্যা কথার গ্লানি নিয়ে থাকতে হতো। ঐ জায়গাটা চিন্তা করলে আমি আজকেও শিউরে উঠি। এই জায়গার উপর দাড়িয়ে আমি নিশ্চিন্তে বলতে পারি আমাদের আগামী প্রজন্ম বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে আমি বাংলাদেশের নাগরিক। এইযে কথাটা তারা বলবে এই কথাটা কিন্তু তারা এইরকম গর্ব করতে বলতে পারবে না যদি না আজ এই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হতো।