রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় ট্রাক, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৭ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৬ জন। বাকি ১ জন তাদের বহন করা অটোরিকশার চালক।
বুধবার (১ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই পরিবারের সদস্যরা তাদের এক আত্মীয়কে দেখতে কালুখালী থেকে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে যাচ্ছিলেন।
নিহত একই পরিবারের ৬ সদস্য হলেন– রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুচিদাহ গ্রামের মোতালেব হোসেনের স্ত্রী মছিরন বেগম (৬০), তার মেয়ে মরিয়ম (৪৫), মর্জিনা (৩৫) ও রাবেয়া (২৮) এবং তাদের সন্তান শিলা (২৩) ও নয়ন (৭)। নিহত অটোরিকশাচালক নাসির মিয়া (৩৫) একই ইউনিয়নের পুঁইজোর গ্রামের বছির মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির কুষ্টিয়াগামী একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-১৭৭৬) ও পাংশা থেকে ছেড়ে আসা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কালুখালীর চাঁদপুর রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশার পেছনে থাকা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে ট্রকটির সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে অটোরিকশায় থাকা তিন জন নিহত হন। বাকিদের আহত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আরও চার জন মারা যান।
এদিকে, দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের চালক রবিউল ইসলাম জানান, তারা কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। কালুখালীর ওই এলাকায় তারা অটোরিকশাটির পেছনে ছিলেন। সে সময় বিপরীত দিক থেকে একটি দ্রুতগতির ট্রাক আসে। অটোরিকশা ট্রাকটিকে দিকে সাইড দেয়। কিন্তু ট্রাকটি অটোরিকশাকে সামনে থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় তাদের প্রাইভেটকারের সামনের কিছু অংশ ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনাস্থলেই তিন জন মারা গেছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর পথে আরও চার জন মারা যান। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।