প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২, ১০:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো তাহলে আজ আমারা যেভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছি বা বাংলাদেশ আদৌ থাকতো কিনা সেটা কিন্তু এখন বুজাই যাচ্ছে। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার চিন্তা, চেতনা সব কিছুই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরেই। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক ঋণচুক্তি বাতিলের পরও পদ্মাসেতুর মতো মেগা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নসহ অবকাঠামোখাতে দেশকে আমূল পাল্টে দেয়ার মতো উন্নয়নের কৃতিত্বও শেখ হাসিনার।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭২১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
আল মামুন বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। সাড়ে তিন বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একদিন সম্পদে শান্তিতে বিশ্বের একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। সেভাবেই তিনি নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু ঘাতকের দল তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। তারা ষড়যন্ত্র করে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর এ দেশের ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ-বিরোধী গোষ্ঠী। এরা বন্দুকের নল ও বাংলাদেশের কতিপয় শত্রু রাষ্ট্রের সহায়তায় ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানি মৌলবাদী ভাবধারায় বাংলাদেশ পরিচালনা করে। ফলে সীমাহীন দুর্নীতি, মৌলবাদ, হত্যা, গুম, ইত্যাকার বিষয় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দীর্ঘ একুশ বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই দুঃশাসকের দল শাসনের নামে বাংলাদেশকে শোষণ করতে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীও ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার বারবার পুনর্ব্যক্ত করছেন। এখন আমাদের উচিত হবে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য যারা দেয় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা। সেই সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা।