#শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইস্পাতসম দৃঢ়চেতা: অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: আল মামুন।
বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো তাহলে আজ আমারা যেভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছি বা বাংলাদেশ আদৌ থাকতো কিনা সেটা কিন্তু এখন বুজাই যাচ্ছে। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার চিন্তা, চেতনা সব কিছুই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরেই। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক ঋণচুক্তি বাতিলের পরও পদ্মাসেতুর মতো মেগা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নসহ অবকাঠামোখাতে দেশকে আমূল পাল্টে দেয়ার মতো উন্নয়নের কৃতিত্বও শেখ হাসিনার।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭২১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমরা জানি ২৫জুন তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জন্য। এইরকম একটি মিরাকল আমাদের জীবদ্দশায় দেখে যাচ্ছি সেটা আমাদের জন্য আসলেই গর্বের। আমরা চাই পদ্মা সেতু হোক আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক ঋণচুক্তি বাতিলের পরও পদ্মাসেতুর মতো মেগা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নসহ অবকাঠামোখাতে দেশকে আমূল পাল্টে দেয়ার মতো উন্নয়নের কৃতিত্বও শেখ হাসিনার। তাঁর ব্যক্তিগত দৃঢ়তা ও সাহসী নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শিক্ষার উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসুরক্ষা, জীবনমানের উন্নয়ন, সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে নারীর অংশগ্রহণ এবং উন্নয়ন ও নারী-পুরুষের গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে এ পার্থক্য নিশ্চিত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক মানদণ্ডে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে শামিল করা অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। এর জন্য শুধু প্রয়োজন শেখ হাসিনার মতো সুযোগ্য, বিচক্ষণ ও দৃঢ় নেতৃত্ব। নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও প্রতিকূলতার মধ্যেও শেখ হাসিনার একক নেতৃত্বে দেশ যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়েছে তার তুলনা নেই।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো তাহলে আজ আমারা যেভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছি বা বাংলাদেশ আদৌ থাকতো কিনা সেটা কিন্তু এখন বুজাই যাচ্ছে। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার চিন্তা, চেতনা সব কিছুই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরেই। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কিভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নেওয়া যায় সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা। আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ কোন সম্ভাবনার ফুলঝুরি নয়। এই অগ্রগতি ক্রমশ চলমান। আজকের বাংলাদেশে যেসকল উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে তার সব কিছুর মূলেই রয়েছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের আশার আলোতে বসবাস করছি। বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে যেভাবে তাঁর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সামনে রেখে যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেখানে এটা আসলেই আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। এক সময় যে বাংলাদেশ ছিল দরিদ্র ও অনুন্নত সেই বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য অর্জনের জন্য কয়েকটি মাইলফলক নির্ধারণ করেছেন। আমরা আশা করছি তার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই এই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো আমরা। এখন আমাদের মনে রাখতে হবে এই লক্ষে পৌঁছানোর জন্য অনেক বাধা-বিপত্তি, ষড়যন্ত্র আমাদের সামনে আসবে। এই সব বাধা অতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
আল মামুন বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। সাড়ে তিন বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একদিন সম্পদে শান্তিতে বিশ্বের একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। সেভাবেই তিনি নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু ঘাতকের দল তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। তারা ষড়যন্ত্র করে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর এ দেশের ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ-বিরোধী গোষ্ঠী। এরা বন্দুকের নল ও বাংলাদেশের কতিপয় শত্রু রাষ্ট্রের সহায়তায় ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানি মৌলবাদী ভাবধারায় বাংলাদেশ পরিচালনা করে। ফলে সীমাহীন দুর্নীতি, মৌলবাদ, হত্যা, গুম, ইত্যাকার বিষয় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দীর্ঘ একুশ বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই দুঃশাসকের দল শাসনের নামে বাংলাদেশকে শোষণ করতে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীও ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার বারবার পুনর্ব্যক্ত করছেন। এখন আমাদের উচিত হবে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য যারা দেয় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা। সেই সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা।