প্রকাশ: শনিবার, ২৮ মে, ২০২২, ১০:২৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আমাদের কাছে আজকে এতো গুরুত্বপূর্ণ কারণ পদ্মা সেতু আজকে কেবল আমাদের কাছে একটি সাফল্য গাথার প্রমাণ এবং দক্ষিণ বঙ্গের সাথে পুরো ঢাকা শহর অন্যান্য সকল বিভাগে যে যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক উন্মোচন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দৃঢ়তার ফলে দেশে দীর্ঘতম এই সেতু আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে সবার আগে উপকার হবে এই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর। দৃঢ়চেতা শেখ হাসিনার লৌহ ইস্পাত অঙ্গীকারের কারণে আজ এই পদ্মা সেতুর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭১৮তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, সেন্টার ফর ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশনসের পরিচালক, কলকাতা টিভির কান্ট্রি ইনচার্জ (বাংলাদেশ), শহিদুল হাসান খোকন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
শাহিদুল হাসান খোকন বলেন, আমি প্রথমেই ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষকে বিশেষ করে ড. কাজী এরতেজা হাসানকে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলেছেন যেখানে বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতি, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তুলে ধরছেন। সত্যিকার অর্থে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ভোরের পাতা নতুন প্রজন্মের মানুষকে জানার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে, তার সাহসিকতায়, তার দৃঢ় মনোভাবের কারণে বিশ্বের বুকে আজ পদ্মা সেতু একটি সাহসের নাম। আসলে সত্যি কথা বলতে কি, বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর সবচে বড় অর্জন পদ্মা সেতু। আজ এই পদ্মা সেতু আমাদের আনন্দে যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সেটার পিছনের ইতিহাসটা কিন্তু অনেক ভয়াবহ। যে প্রতিবন্ধকতা আমাদের সামনে ছিল সেটার পাশ কাটিয়ে একটি পদ্মা সেতু করা আমাদের জন্য ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পদ্মা সেতুর নির্মাণে যে অসহযোগিতা ছিল সেটা আমাদের জন্য একটি ভয়ঙ্কর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। তারা এদেশে খেয়ে, এদেশের মানুষের অর্থ লুণ্ঠন করে বাইরে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, বিশেষ করে আমাদের দেশের একজন নোবেল বিজয়ী সরাসরি এই পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। কিন্তু দৃঢ়চেতা শেখ হাসিনার লৌহ ইস্পাত অঙ্গীকারের কারণে আজ এই পদ্মা সেতুর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি।