প্রকাশ: শনিবার, ২৮ মে, ২০২২, ৬:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মহান একুশের অমর সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’— রচয়িতা, বরেণ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ স্ত্রী সেলিমা আফরোজ চৌধুরীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।
দাফনকালে মিরপুর-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক নেতা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা জানাজায় অংশ নেন।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে তার মরদেহ আনা হয়।
এর আগে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ নেওয়া হয়। সেখানে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান শত শত মানুষ।
এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
শনিবার (২৮ মে) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সরকারের পক্ষে মরদেহ গ্রহণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
১৯৭৪ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করলেও মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে গাফ্ফার চৌধুরীর কলম সোচ্চার ছিল বরাবর। প্রবাসে থেকেও ঢাকার পত্রিকাগুলোয় তিনি রাজনৈতিক ধারাভাষ্যের পাশাপাশি সমকালীন নানান বিষয়ে লিখে গেছেন। রচনা করেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, স্মৃতিকথা ও প্রবন্ধ।
বিশেষ করে, গত শতকের আশির দশকজুড়ে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলে গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা কলাম দেশের সব রাজনীতি-সচেতন পাঠকের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এভাবেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী পরিমণ্ডলে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক পরিচিত নাম।