প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২, ১১:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি হয় মাঝে মাঝে সেটার নীল নকশা কিন্তু ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে করা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই দল গুলো যখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে নগ্ন রাজনীতির প্রদর্শন করে তখন এটা কিন্তু কোনভাবেই কাম্য নয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অভিভাবক জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই অভিভাবককে নিয়ে আপনারা অশালীন বক্তব্য দিবেন তখন আমরা কি চুপ করে বসে থাকব। আপনাদের খুঁজে খুঁজে বের করে চামড়া টেনে তবলা বানানো হবে, আপনাদের বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭১৭তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি সোহান খান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম সুমন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি হয় মাঝে মাঝে সেটার নীল নকশা কিন্তু ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে করা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই দল গুলো যখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে নগ্ন রাজনীতির প্রদর্শন করে তখন এটা কিন্তু কোনভাবেই কাম্য নয়। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে যা কিছু ঘটে তা কিন্তু আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। সাধারণ মানুষের কাছে কিন্তু এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি একটি ন্যূনতম বিশ্বাসের জায়গা রয়েছে। এখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠকে গরম রাখতে চান, যারা লন্ডনে বসে নীল নকশা প্রণয়ন করে, যারা গুলশানে বসে বিভিন্ন এজেন্ডা প্রণয়ন করেন সেইগুলো এখন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োগ করার পায়তারা করছে। আমরা চাচ্ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির সুষ্ঠু বাতায়ন হোক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সহ সকল কিছুই সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক থাকুক। আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাদে সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্র রাজনীতি সুস্থভাবে পরিচালনা হোক। কিন্তু এখন মোটা দাগে একটা প্রশ্ন দাড়ায় কেন এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পরিবেশ দেখতে হচ্ছে আমাদের? আসলে যখন জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসে তখন সর্বপ্রথম টার্গেট করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে অশান্ত করা যায়, কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে উত্তপ্ত করা যায় এবং এটা যদি কোনভাবে তারা করতে পারে তাহলে রাজনীতিকে তারা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে পারে।