প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২, ১:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রথম সেশনটা ভালোভাবেই পার করে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে টিকল না আর সাকিব-লিটনের জুটি। হাফসেঞ্চুরি করে বিদায় নেন লিটন দাস। তাতে ভেঙে যায় ১০৩ রানের জুটি। লিটনকে হারানোর কিছুক্ষণ পর আউট হন সাকিবও। সেট হওয়া দুই ব্যাটারকে হারানোর কিছুক্ষণ পরেই ১৬৯ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার রান টপকানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৮ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। সুতরাং শেষ ইনিংসে মাত্র ২৯ রান করলেই ঢাকা টেস্ট জিতে নেবে শ্রীলঙ্কা।
ঢাকা টেস্টের শেষ দিনে বাংলাদেশ যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখনও শ্রীলঙ্কা থেকে ১০৭ রান পিছিয়ে ছিল। দিনের প্রথম ঘণ্টায় মুশফিকুর রহিমকে হারানোর পর এই রান টপকানো নিয়েই শঙ্কা জাগে। অবশেষে প্রথম সেশনেই সেই শঙ্কা কাটান সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের জুটিতে ভর করে ইনিংস ব্যবধানের হারের শঙ্কা কাটায় বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৭ মে) শেষ দিনের প্রথম ঘণ্টায় বোল্ড হয়ে বিদায় নিলেন মুশফিক। ৩৯ বলে ২৩ রান করে আউট হয়েছেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুশফিক। এরপর দ্বিতীয় সেশনে ৫২ রান করে বিদায় নেন লিটন আর ৫৮ রান করে বিদায় নেন সাকিব।
আজ শেষ দিনে যে কোনো কিছুই হতে পারে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। তবে অন্তত ড্রয়ের স্বাদ পেতে হলে বাংলাদেশকে লম্বা সময় উইকেটে থাকতে হবে। নয়তো হার জুটতে পারে মুমিনুলদের। ১০৭ রান টপকানোর পর এবার যদি শ্রীলঙ্কাকে বড় লক্ষ্য বাংলাদেশ দিতে না পারে তাহলে অনায়সেই ফল নিজেদের পক্ষে নিতে পারবে শ্রীলঙ্কা। তাই লিটনদের মূল চ্যালেঞ্জ উইকেটে টিকে থাকা। এখন শেষ দিনে বাংলাদেশ কতক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষা।
গতকাল তৃতীয় সেশনে প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রানে থামে শ্রীলঙ্কা। ফলে প্রথম সেশনে ১৪১ রানের লিড পায় লঙ্কানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা ম্যাথুজ ৩৪২ বলে খেলেছেন ১৪৫ রানের ইনিংস। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন সাকিব ও ইবাদত। ৯৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। এই নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৯তম বার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের সঙ্গে ১৪৮ রান দিয়ে চার উইকেট নেন ইবাদত।
এর আগে টেস্টের দ্বিতীয় দিন মুশফিকুর রহিমের লড়াইয়ের পর প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা মুশফিক খেলেছেন ১৭৫ রানের ইনিংস। এ ছাড়া লিটন খেলেছেন ১৪১ রানের ইনিংস।