বক্তারা বলেন, ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। নদী ভাঙ্গনের মতো দুর্যোগের মুখোমুখি আর হতে চাই না। আমরা পরিবার নিয়ে বাপ-দাদার ভিটায় থাকতে চাই, পানিতে নয়। আশাশুনিতে যত নদী আছে সেগুলো খনন করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে খরচ করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, ষাটের দশকে নির্মিত সাতক্ষীরা উপকূল রক্ষা বাঁধের অধিকাংশ জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় উপকূলের মানুষও সবসময় অনিরাপদ জীবনযাপন করে থাকেন।
সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় জলাবদ্ধতা ও জলমগ্ন অবস্থা বিরাজ করে। অনেকের ঘরের মধ্যে পানি উঠে যায়।জলাবদ্ধতায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আমরা সাতক্ষীরাবাসী এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সময় আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেঁড়িবাধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বিশেষ করে প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। স্বাভাবিক সময়ে বেড়িবাঁধ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা থাকে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলেই শুরু হয় তোড়জোড়। যা এবার ঘূর্ণিঝড় অশনির সময়ও দেখা গেছে। কিন্তু এখন আর সেই তোড়জোড় নেই।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সচিব আলীনুর খান বাবলুর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম হোসেনুজ্জামান, জাসদের সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আজাদ হোসেন বেলাল, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, ভূমিহীন নেতা কওছার আলী, সিপিবি নেতা মো. আবুল হোসেন, জেলা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাও. মোনায়েম হোসেন, জেলা নারী কমিটির সভাপতি শ্রীপ্রা সরকার, আসাদুল হক লাল্টু, পানি কমিটির তালা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমানসহ আরও অনেকে।