প্রকাশ: সোমবার, ৯ মে, ২০২২, ৭:০৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপটি ঘুর্ণিঝড়ে রুপ নিয়ে বন্দরসহ উপকুলের দিকে এগিয়ে আসছে, এর গতিবেগ কম থাকলেও প্রবল শক্তি স য় করছে এ ঝড়টি। যার প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকুল অঞ্চলে দুর্যোগপুর্ন ও বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। মোংলা বন্দরে ২ নাম্বার স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। গত দুইদিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, ঝড়ের প্রভাবে মোংলা শহর ও গ্রামা লে রাত থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও বন বিভাগ।
ঘুর্নিঝড় অশনির প্রভাবে বন্দর ও উপকুলীয় অঞ্চলে দুর্যোগপুর্ন ও বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে দুপুরের জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড় অশনি’র গতি এখন মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০২০ কিলোমিটার দক্ষিন দিকে অবস্থান করছে। বৃষ্টি হওয়ার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ ঘর থেকে নামতে পারছেনা। দুর্ভোগে পরতে হয়েছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী ও এখানকার অফিসগামী এবং রাস্তায় চলাচলকারী সাধারন মানুষদের।
মোংরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র পরিস্কার পরিছন্ন করে রেখেছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদে পৌর কর্মকর্তা, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, সিপিপি ও এনজিও প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরী মিটিং করে পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নের উপকুলীয় অ লের মানুষদের সচেতন এবং উদ্ধার করার জন্য ঘুর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচি (সিপিপি)’র ১৩ শ ২০ জন সেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রেখেছে। মউজুদ করে রাখা হয়েছে জরুরী বৃক্তিতে শুকনো খাবার।
ঘূর্ণিঝড় অশনি’র কারনে দুশ্চিন্তায় সুন্দরবন ও সমুদ্রগামী জেলেরা, সাগর পারের চরা লে থেমে থেমে কখোনও মাঝারী আবার মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। উপকুলীয় এলাকায় প্রচন্ড বাতাস ছাড়াও বিরাজ করছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। বৃস্টি অব্যাহত থাকলে জেলেদের জালে আহরিত মাছ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, সাগর প্রচন্ড উত্তল থাকায় জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রায় নিয়েছে এবং জেলেদের সাগরে না গিয়ে সুন্দরবনের কাছাকাচী থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে বন বিভাগ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, মোংলা সমুদ্র বন্দরে খাদ্যবাহীসহ ৪টি বানিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। এছাড়া বহিঃনঙ্গরেও পন্যবাহী জাহাজ রয়েছে। আমরা ঘুর্ণিঝড় প্রচন্ডতা এবং আবহাওয়া খবরা খবর পর্যবেক্ষন করছি। যদিও এটি আমাদের দিকে আঘাত হানার খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। তবে বাতাসের প্রচন্ডতা বাড়লে দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ ও কার্গো লাইটারগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার ব্যাবস্থা করা হবে। তবে বৃস্টির কারনে খাদ্যবাহী জাহাজের পন্য খালাসের কিছুটা ব্যাহত হলেও বন্দরের অন্য সকল পন্য খালাস-বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে বলে জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা।