প্রকাশ: সোমবার, ৯ মে, ২০২২, ২:৪৫ পিএম আপডেট: ০৯.০৫.২০২২ ২:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কর্মস্থলে ফিরেছেন পাকশী রেল বিভাগের টিটিই শফিকুল ইসলাম। পুনর্বহালের অফিস আদেশের খবর পেয়ে সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে অফিসে অবস্থান করছেন তিনি।
এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঊর্ধ্বতন এসআরআইটি (সিনিয়র ইন্সপেক্টর অব ট্রেইন) বরকতুল্লাহ আলামিনের কাছ থেকে ডিআরএম অফিস থেকে দেওয়া কন্ট্রোল অর্ডারের (নং ২৮৬, তাং ৮ মে-২০২২) কথা জানি। এরপর সকালে অফিসে উপস্থিত হই। পত্রটি অফিসে পৌঁছানোর পর অনানুষ্ঠানকিভাবে ডিউটি শুরু করবো।
তিনি বলেন, ডিআরএম শহীদুল ইসলাম রোববার দুপুর ১২টায় গণমাধ্যমের কাছে আমাকে পুনর্বহালের ঘোষণা দেন। এছাড়া কাজে যোগ দেওয়ার কন্ট্রোল অর্ডার নম্বরটিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাই কর্মস্থলে উপস্থিত হয়েছি।
এর আগে রোববার দুপুরে এই ঘটনায় তদন্ত কমিটির কার্যক্রমের শুরুতেই টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এ দিন নিজ ক্ষমতাবলে টিটিইর বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল করেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি বরখাস্তকারী পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে শোকজ করেন। তাকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলামকে প্রধান এবং সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) শিপন আলী ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারী কমান্ডেন্ট (এসিআরএনবি) আবু হেনা মোস্তফা কামালকে সদস্য করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে (৫ মে) টিকেট ছাড়া ট্রেনে ওঠেন ‘রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয়’ পরিচয়দানকারী তিন যাত্রী। টিকেট না কাটলেও তারা রেলের এসি কেবিনের সিট দখল করেন। এতে রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) তাদের জরিমানা করেন। পরে ‘রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয়’ পরিচয়দানকারী ওই তিন যাত্রী তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয় বলে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে অভিযোগ করেন। এতে বৃহস্পতিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গণামধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার সৃষ্টি হয়।