সোমবার (১১ এপ্রিল) ওপেকের মহাসচিব মোহাম্মদ বারকিন্দো বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে তেল সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। এতে ইউরোপে যে তেল সংকট তৈরি হবে, তা পূরণের জন্য বিকল্প উৎস নেই বলে সতর্ক করেন তিনি।
ওপেকের মহাসচিবও আরও বলেন, জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার ফল ইউরোপের জন্য ভয়াবহ হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা আরোপের কারণে বিশ্ববাজারে প্রতিদিন রাশিয়ার ৭০ লাখ ব্যারেল পরিমাণ তেল সরবরাহ কমে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকার করেছে, ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে ঘাটতি পূরণ করবে তারা। অথচ ইউরোপের এলএনজি টার্মিনালগুলো ইতিমধ্যে পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে, অর্থাৎ জ্বালানি সংরক্ষণের জন্য কোনো জায়গা নেই। কিছু কিছু দেশ আবার চাইছে জ্বালানি সংকটকে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দুয়ার খুলতে।
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রাশিয়ার তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পারমাণবিক জ্বালানির ওপর পুরোপুরিভাবে এবং অবিলম্বে অবরোধ আরোপের দাবি করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ দাবি পূরণ হলে ইউরোপীয়দের জীবন মানের ওপর এর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো কিছু দেশ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, নিজেদের স্বার্থে নিষেধাজ্ঞার এ পরিকল্পনা উপেক্ষা করবে তারা। কোনো কোনো দেশ আবার তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে, সামনে সংকটের সময় আসছে। এর জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের।