#বাংলাদেশ যখনি এগিয়ে যায় তখনি ষড়যন্ত্র শুরু হয়: অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা কাজ করছে: কে এম লোকমান হোসেন।
প্রকাশ: সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১১:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ১৯৭১ সাল থেকেই শুরু হয়েছিল এবং এই ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শেষ করার পায়তারা করেছিল। কোন রকমের ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই উন্নয়ন গুলো কোনভাবেই বন্ধ করতে পারবে না।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৬৭১তম পর্বে সোমবার (১১ এপ্রিল) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ১৯৭১ সাল থেকেই শুরু হয়েছিল এবং এই ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শেষ করার পায়তারা করেছিল। তারপর থেকেই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে ঘিরে চলমান আছে। আসলে বাংলাদেশ যখনি এগিয়ে যায় তখনি নানা রকম বাধা-বিপত্তি ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এই ষড়যন্ত্র করার মাধ্যমে এই দেশটাকে আবার পিছনে নিয়ে আসার পাঁয়তারা দেখতে পায়। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আজকের বাংলাদেশে যেসকল উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে তার সব কিছুর মূলেই রয়েছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের আশার আলোতে বসবাস করছি। বেগম খালেদা জিয়া, উনি এই পদ্মা সেতু নিয়ে কিরূপ মন্তব্য করেছিলেন, সেই পদ্মা সেতু আজ আমাদের সামনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি এবং আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারি। একদিনে ৭০ হাজার গৃহহীন মানুষকে ঘর উপহার দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি শুধু নয় বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পিতা মুজিবের স্বপ্ন ছিল দেশ ভরা হাসি। আমি বিশ্বাস করি, কোন রকমের ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই উন্নয়ন গুলো কোনভাবেই বন্ধ করতে পারবে না।
কে এম লোকমান হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার অবর্তমানে যে ব্যক্তিটি এখন বিএনপির দায়িত্ব বহন করছেন তিনি হচ্ছে মির্জা ফখরুল সাহেব। তিনি যখন এই কথাটি বলেন যে, একটা ঘটনা ঘটাতে হবে তাহলে সেটা কিসের ইঙ্গিত দেয়? আমার কাছে মনে হয় এই ইঙ্গিতটা সেই ষড়যন্ত্রকে দেখাচ্ছে যেটা তারা ঘটিয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে, যেটা তারা ঘটিয়েছিল ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টে, যেটা তারা ঘটিয়েছিল একসাথে সাড়া বাংলাদেশের ৬৫টি জেলায় বোমার মাধ্যমে, যে ষড়যন্ত্রটা তার বার বার করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। এই ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে তাদের ষড়যন্ত্রে কিছুটা সফল হয়েছিল কিন্তু সেদিন আল্লাহর রহমতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা জননেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাহিরে থাকায় বেঁচে যান। আজ সকল কিছু হারিয়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক ষড়যন্ত্র পারি দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণীত করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর সবচাইতে উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর অধিকাংশই শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধুর পরে একমাত্র শেখ হাসিনাই বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে তাঁর কন্যা ধারাবাহিকভাবে সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন, সেখান থেকে বলা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা সংকট কাটিয়ে অদম্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে।