নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডারে অংশ গ্রহন করার সুযোগ না দিয়ে ‘গোপনে’ ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্রের মেছুয়া বাজার ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ মেছুয়া বাজারের ব্যবসায়ী ও বর্তমান বাজারের ইজারাদার মো: আল হেলালসহ আরও অনেকের।
এ ঘটনায় সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) মেয়র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেছুয়া বাজারের এক অংশের বর্তমান ইজারাদার মো: আল হেলাল।
ওই অভিযোগে তিনি দাবি করেন, মেছুয়া বাজারের টেন্ডার বন্ধ থাকার পর ‘গোপনে’ আমাদের না জানিয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। অথচ বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন আগে আমরা কয়েকজন ব্যবসায়ী সিটি কর্পোরেশনের সিও, রাজস্ব কর্মকর্তা ও বাজার কর্মকর্মার সাথে কথা বলেছি। তারা কয়েক দিনের মধ্যে বাজারের টেন্ডার দিবে বলে জানিয়েছিল।
কিন্তু আজ হঠাৎ জানতে পেরেছি বাজার ইজারা দেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ীরা গত ৩দিন যোগাযোগ করার পরও বাজার ইজারা পাইনি। এ অবস্থায় সঠিক নিয়মে মেছুয়া বাজার পুনরায় ইজারা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সূত্র জানায়, মেছুয়া বাজারটি দুই ভাগে বিভক্ত। এর একটি জিলাপী পট্টি ও অপরটি যাদব লাহেড়ী লেন। প্রতি বছর এই বাজারটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, নোটিশ ও মাইকিং করে ইজারার টেন্ডার আহবান করা হত।
কিন্তু এ বছর নিয়ম মেনে সে ধরনের কোন কিছু না করেই অতি ‘গোপনে’ বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে। যা ইজারা নীতিমালার লঙ্গন বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী নেতা মো: হাফিজুর রহমান টিপু।
তিনি বলেন, গত বছর এই বাজার ইজারায় আমি দ্বিতীয় দরদাতা ছিলাম। কিন্তু এ বছর আমি কয়েক বার যোগাযোগ করেও ইজারার বিষয়টি জানতে পারিনি। অথচ আজ (১১ এপ্রিল) জানলাম ’গোপনে’ বাজার ইজারা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মেছুয়া বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, আগে মাইকিং করে, নোটিশ দিয়ে ইজারার বিষয়টি জানানো হত। এখন কেউ জানে না। এতে বাজারে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে, প্রতিদিন মারামারির ঘটনা ঘটছে।
ইজারা বিষয়ে জানতে একাধিকবার মসিকের বাজার কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে নতুন বছরে বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো: ইউসুফ আলী।
তিনি বলেন, নতুন বছরের জন্য বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে ইজারাদার কে বা কত টাকায় ইজারা হয়েছে তা আমার জানা নেই, রাজস্ব কর্মকর্তা বলতে পারবে।
পরে মসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সেজুঁতি ধরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইজারা কে পেয়েছে বা কত টাকায় হয়েছে, তা মুখস্ত নেই। অফিসে আসেন, খাতা দেখে বলতে পারব।
এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু অসুস্থ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।