প্রকাশ: রোববার, ১০ এপ্রিল, ২০২২, ৮:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় শিক্ষিকা স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতন করে বসত ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। একদিন পর আহতের ভাই গুরুত্বর অবস্থায় নির্যাতিতা শিক্ষিকাকে উদ্ধার করলেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বাঁধা প্রদান করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের মুলাদী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজায়শুলি গ্রামে। রবিবার (১০ এপ্রিল) সকালে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওই উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন তালুকদারের মেয়ে এবং মুলাদীর দক্ষিণ বজায়শুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জুবাইদা বেগম জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে সামাজিকভাবে মুলাদীর বজায়শুলি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোশারফ হোসেনের ছেলে এবং কাজিরচর খাসেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মহিনের সাথে তার বিয়ে হয়।
শিক্ষিকা জুবাইদা আরও জানান, সম্প্রতি সময়ে তার স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি তিনি জানতে পেরে একাধিকবার বাঁধা প্রদান করেন। এতে সে (মহিন) ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায়ই তাকে মারধর করতো। ইতিপূর্বে দুইবার তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিলো। সবশেষ গত ৬ এপ্রিল বিকেলে মহিন বাড়ি ফিরলে তার ক্লান্তির বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে (জুবাইদা) অমানুষিক নির্যাতন করে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এসময় তার (জুবাইদা) কাছ থেকে মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়া হয়। ওইদিন রাত থেকে জুবাইদার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে পরেরদিন বিকেলে তার ভাই মহিনের বাড়িতে আসেন।
তারা গুরুত্বর আহত জুবাইদাকে উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করলেও মহিন ও তার স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি হতে বাঁধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে জুবাইদাকে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পরকীয়া ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মহিন জানান, আমাদের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়েছে। পরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জুবাইদা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।