মার্চের তাৎপর্য বছরের প্রত্যেক মাসেই অনেক গুরুত্ববহ: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২, ১০:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মার্চের ১ তারিখ থেকেই আমরা অগ্নিঝরা মন্ত্রে অবগাহন করছি। স্বাধীনতা নিয়ে প্রচুর আলাপ আলোচনা হয়েছে হচ্ছে এবং হবে কিন্তু এর যে চর্চা সেটা আমাদের বছরের পর বছর করতে হবে। শুধু নির্ধারিত একটি মাসেই এটাকে সিমাহিত করাটা ঠিক হবে না। বাঙালির ইতিহাসে মার্চ মাস একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। এক থেকে তেসরা মার্চ, ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ তারপরে ২৫ ও ২৬ মার্চ; এই যে এতোগুলো ঘটনা ঘটেছে এই সময়কালে তা আসলেই আমাদের ভাবিয়ে তলে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৬৪৪তম পর্বে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ লিংকন মোল্লা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, মার্চের ১ তারিখ থেকেই আমরা অগ্নিঝরা মন্ত্রে অবগাহন করছি। স্বাধীনতা নিয়ে প্রচুর আলাপ আলোচনা হয়েছে হচ্ছে এবং হবে কিন্তু এর যে চর্চা সেটা আমাদের বছরের পর বছর করতে হবে। শুধু নির্ধারিত একটি মাসেই এটাকে সিমাহিত করাটা ঠিক হবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তানি সেনারা অপারেশন সার্চ লাইটের নামে আমাদের উপর যেভাবে কাপুরুষের মতো ঝাপিয়ে পরেছিল তা আমাদের নিরস্ত্র জনতাকে ঘুরে দাড়াতে শিখিয়েছে। আমরা প্রথমে আত্মাহুতি দিয়েছি তারপর যার যা কিছু ছিল তা নিয়েই শত্রুর মোকাবিলা করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা আমাদেরকে পুরো নয়মাস উজ্জীবিত রেখেছে এবং আমাদেরকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছে এবং আমরা শত্রুর মোকাবিলা করে একটি নতুন সূর্যের উদয় করতে পেরেছি। ‘শোনো, একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি। বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।’- এই যে একটি চেতনা এটা আমাদের সবসময় বলীয়ান রেখেছে। একাত্তরের স্মৃতি আমাদের তাড়িত করে, আমাদের উজ্জীবিত করে এবং আমাদের অনাগত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।