প্রকাশ: রোববার, ১৩ মার্চ, ২০২২, ১০:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ গৌরবোজ্জ্বল মাস হচ্ছে মার্চ মাস। এই মাসকে বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত গর্বের সাথে বলে এটা আমাদের স্বাধীনতার মাস। কারণ এই মার্চ মাসের ২৬ তারিখে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৬৪২তম পর্বে রোববার (১৩ মার্চ) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিএসসি, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
আফছার খান সাদেক বলেন, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসটি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে নানাভাবেই স্মরণীয়। এই মাসেরই ৭ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেই স্বাধীনতার সংগ্রামে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা জয়লাভ করেছিলাম। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ তাঁর সেই অসাধারণ ভাষণে তিনি উচ্চারণ করেছিলেন, একটি অলৌকিক বাক্য। তিনি তর্জনী তুলে পরিষ্কার বলেছিলেন, ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ একটা আঙ্গুলের ইসারায় ৭ কোটি মানুষকে একত্রিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী) ময়দানে ১০ লাখ লোকের বিশাল জনসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণটি দিয়েছিলেন তা সার্বজনীন ও সর্বজন স্বীকৃত। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র পূর্ব-বাংলার অধিকার বঞ্চিত জনগণকে পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচার, বৈষম্য, নিপীড়ন, শাসন-শোষণের যাতাকল থেকে বের হয়ে স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানান। এ ভাষণটি ছিল জাতির পিতার এক অলৌকিক ভাষণ। যে ভাষণে পূর্ব-বাংলার সাত কোটি জনগণ ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা, বিশ্বনেতা, রাজনীতির কবি, রাজনীতির বরপুত্র, যার ইতিহাস খুব সমৃদ্ধ, বিরল ও অদ্বিতীয়। তাই সব দলের উচিত জাতির পিতাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া। সবার ঊর্ধ্বে রাখা। যিনি না হলে বাংলাদেশ নামে ভূখণ্ডের জন্ম হতো না। আজ আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না।