দেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে বিরোধী চক্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ্যডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছি। দেশ যখন উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশ বিরোধী এসকল চক্রান্ত পতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ রোববার (১৩ মার্চ) সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নানক বলেন, ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হলে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। ঢাকায় বসে নয়, জেলায় থেকে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করতে হবে। মনে রাখবেন, কে কি করছেন নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সে আমল নামা যায়। আগামীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে হলে দলের নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দিতে হবে।
এসময় সকল বিবেদ ভুলে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে আগামী ২ মাসের মধ্যে ইউনিয়ন ও উপজেলা সম্মেলন করে জুন মাসের মধ্যে জেলা সম্মেলন প্রস্তুত করতে জেলা নেতৃবৃন্দের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এই দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের বক্তব্যে অনুপ্রানিত হয়ে মানুষ যুদ্ধে গিয়ে রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করে। আমরা বঙ্গবন্ধুর পথ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছি। যেই দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলা হতো আজ তা দুনিয়ার কাজে উন্নয়নের উদাহারন। এদেশে যা ভালো কাজ হয়েছে সব আওয়ামী লীগের মাধ্যমে হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। সকলকে সুসংগঠতি হতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। দলের স্বার্থে সকল বিভেদ ভুলে যেতে হবে।
সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, আমাদের সামনে মাত্র দুইটি বছর রয়েছে। এই দুই বছরের মধ্যে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। দলের অনেক নেতার মধ্যে আস্তা ও বিশ^াসের ঘাটতি রয়েছে। সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্য পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করতে হবে। দলে প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে তবে এই প্রতিযোগিতা যেনো দলকে বিব্রতের মধ্যে না ফেলে। জামাত শিবির এদেশে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। জামাত বিএনপির সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকতে পারে না। দলীয় নেতাকর্মীদের বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিককল্পনা মন্ত্রী এম মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব, মজুর সাধারণ মানুষের চিন্তা করেন। তিনি হাওর, পাহার, চর, উপকূল এলাকার মানুষের উন্নয়নে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামীলীগের যোগ দেয়ার পর তার আনুগত্য মেনে কাজ করছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমমনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্মাদক আহমদ হোসেন, সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাংসদ মহিবুর রহমান মানিক, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সাংসদ শামীমা আক্তার খানম, পৌর মেয়র নাদের বখতসহ জেলার সকল উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।