তিনি বলেন, ঢাকা শহরে আইন ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে অপরিকল্পিতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ৯৯ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে নিয়ম অমান্য করে। রাজধানীর অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নেই। আর এই সেপটিক ট্যাংক না থাকায় সুয়ারেজ লাইন খাল ও লেকে সরাসরি দিয়ে দেন। এতে করে খাল ও লেকের পানি দূষিত হয়ে মাছসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচে না।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেপটিক ট্যাংক না রেখে কোনো বাসা-বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। নকশা অনুমোদন দেওয়ার পূর্বে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশ দেন তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে ময়লা-আবর্জনা। আগে একটি ব্যাগে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হতো। এখন প্রতিটি উপকরণের সাথে একটি ব্যাগ দেওয়া হয়, যার ফলে বাসা-বাড়িতে ময়লা বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ময়লা আবর্জনা একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। আর এই চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের দেশে নয়, পৃথিবীর অন্য দেশেও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার।
খুব শিগগিরই ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকাকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী গড়তে উভয় সিটি কর্পোরেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দখল হওয়া খাল উদ্ধার করা হয়েছে। খালগুলো সংস্কার ও পুনঃখনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে। গৃহীত কাজ সমাপ্ত হলে শহরের অনেক পরিবর্তন আসবে।